অনস্ক্রিন চুমুতে ‘না’ সইফিনার, মানতে পারেননি সারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Aug 12, 2021 | 10:40 PM

দিন কয়েক আগে মা অমৃতা সিং ও বাবা সইফের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সারা। তিনি বলেছিলেন, "“আমি বর্তমানে আমার মায়ের সঙ্গে থাকি। আমার মা আমার প্রিয় বন্ধু। আমার বাবাকে যখনই দরকার হয় তখনই তাঁকে ফোনে পাই আমি, প্রয়োজনে দেখাও করতে পারি।”

অনস্ক্রিন চুমুতে না সইফিনার, মানতে পারেননি সারা
সারার প্রতিক্রিয়া ছিল বাবা ও সৎ মায়ের থেকে একেবারেই আলাদা।

Follow Us

অনস্ক্রিন চুমু খাবেন না সহঅভিনেতার সঙ্গে– এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর। সেই সিদ্ধান্তের কথা শেয়ার করেছিলেন মেয়ে সারা আলি খানের সঙ্গেই। তাতেই সারার প্রতিক্রিয়া ছিল বাবা ও সৎ মায়ের থেকে একেবারেই আলাদা। সারার ২৬ তম জন্মদিনে ফিরে দেখা সেই ঘটনা।

এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন করিনা কাপুর নিজেই। করিনার কথায়, “সইফ ওর মেয়েকে বলে আমরা ঠিক করেছি অনস্ক্রিন চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করব না। সারা শোনামাত্র বলেছিল, এই সিদ্ধান্ত ভীষণই বোকা বোকা। ও আমাদের বলে, ‘তোমরা অভিনেতা। আজকের দিনে যে সব ছবি তৈরি হচ্ছে তাতে দুটি মানুষ যদি একে অপরকে সিনেমার স্বার্থে চুমু খায় তাতে ক্ষতি কিছু নেই।” করিনা যোগ করেন, “কি অ্যান্ড কা ছবিতে আমি ও অর্জুন কাপুর স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সেখানে যদি আমি বলতাম না আমি চুমু খাব না, সামনে দুটো ফুল কাছাকাছি আসছে এমন প্রতীকী ছবি দিয়ে দাও, সেটা তো হয় না।”


সারার কথাতেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে করিনা ওই সইফ সরে এসেছিলেন বলে জানান করিনা। প্রসঙ্গত, সারা নিজেও তাঁর প্রথম ছবি ‘কেদারনাথ’-এ সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে অনস্ক্রিন চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। সে সময় সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। তা অবশ্য জানা যায়, সুশান্ত প্রয়াত হওয়ার পর। মাদক কাণ্ডে ডেকে পাঠানো হয় সারাকেও। সারাও এনসিবি’র সামনে স্বীকার করে নেন সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্কের কথা, অন্যদিকে করিনার সঙ্গেও তাঁর বেশ সম্পর্ক বেশ ভাল। সইফে বাড়িতে মাঝেমধ্যেই সৎ ভাই তৈমুর ও জেহ’র সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায়।

দিন কয়েক আগে মা অমৃতা সিং ও বাবা সইফের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সারা। তিনি বলেছিলেন, ““আমি বর্তমানে আমার মায়ের সঙ্গে থাকি। আমার মা আমার প্রিয় বন্ধু। আমার বাবাকে যখনই দরকার হয় তখনই তাঁকে ফোনে পাই আমি, প্রয়োজনে দেখাও করতে পারি।” বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সারার সাফ বক্তব্য, “ওঁরা একসঙ্গে সুখী ছিলেন না। আর সেই কারণেই বিচ্ছেদই ছিল শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত।” সারা মনে করেন দম্পতির কাছে দুটি উপায় রয়েছে। প্রথম অখুশি হয়ে এক বাড়িতে সারা জীবন থেকে যাওয়া, অন্যটি বিচ্ছিন্ন হওয়া। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে সারার বক্তব্য, “যখন দুজনেই দুজনের জীবনে খুশি তখন তুমি নিজেও সেই সব মানুষদের সঙ্গে দেখা করে আলাদা রকমের অভ্যর্থনা পাবে। বাবা-মা উভয়ই নিজেদের জীবনে এই মুহূর্তে বেশ সুখী। আর ওঁরা সুখী বলেই আমি ও আমার ভাই ইব্রাহিমও সুখী।”

১৯৯১ সালে অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সইফের। ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। ২০১২ সালে করিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সইফ। বিচ্ছেদকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নিয়েই নিজেদের শর্তে বাঁচেন সারা ও তাঁর পরিবার।

Next Article