Ananya Panday: দ্বিতীয়বার তলব, এনসিবি’র দফতরে পৌঁছলেন অনন্যা পাণ্ডে
তবে এনসিবি সূত্রে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, মাদককাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অনন্যা অভিযুক্ত নন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তদন্তের স্বার্থে। আরিয়ানের সঙ্গে তাঁর মাদক নিয়ে আলোচনা হলেও।
ঘড়ির কাঁটা আড়াইটে ছুঁতেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর দফতরে বাবা চাঙ্কি পাণ্ডেকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হলেন অনন্যা পাণ্ডে। শাহরুখের খানের পুত্র আরিয়ান খানের সঙ্গে অনন্যার এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে কেন্দ্র করেই অভিনেত্রীকে বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে এনসিবি, জানা যাচ্ছে তেমনটাই।
তবে এনসিবি সূত্রে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, মাদককাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অনন্যা অভিযুক্ত নন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তদন্তের স্বার্থে। আরিয়ানের সঙ্গে তাঁর মাদক নিয়ে আলোচনা হলেও। গাঁজা জোগান অথবা সেবনের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত অনন্যার বিরুদ্ধে নেই। বৃহস্পতিবারও তাঁকে ডেকে পাঠায় এনসিবি। সূত্রের খবর, দফতরে প্রবেশের পরেই নাকি মানসিক ভাবে বেশ বিপর্যস্ত দেখায় অনন্যাকে। তাঁকে নাকি কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। গোটা সময় জুড়েই ছিলেন অসম্ভব নার্ভাস, এমনটাই জানাচ্ছে সূত্র। যদিও এনসিবি’র তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকি অনন্যা বা তাঁর পরিবারের কেউই এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে একটা বাক্যও খরচ করেননি।
View this post on Instagram
এনসিবি ঘনিষ্ঠ সূত্র আরও জানাচ্ছে, আরিয়ানকে নাকি গাঁজা জোগাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপে নাকি আরিয়ান ‘অ্যানি’ তথা অনন্যাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন গাঁজা কোথায় পাওয়া যাবে। অনন্যা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আই উইল রেজ’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘আমি দেখছি’। বৃহস্পতিবার এনসিবি’র দফতরে অনন্যা যদিও জানান, মজা করেই ওই কথা বলেছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে আদপে অনন্যা গাঁজার যোগান দিয়েছিলেন কিনা, সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ এখনও এনসিবি কর্তাদের হাতে আসেনি বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অনন্যা ও আরিয়ান খানের চেনাশোনা ছোটবেলা থেকেই। অনন্যার বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে শাহরুখের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অন্যদিকের শাহরুখ কন্যা সুহানা ও অনন্যা ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’। মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান। বারংবার তাঁর জামিন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ছেলের সঙ্গে জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন শাহরুখ। জেলের মূল ফটক দিয়েই তাঁকে জেলের ভিতর ঢুকতে দেখা যায়। কিং খানের পরনে ছিল সাধারণ ধূসর টি-শার্ট, ডেনিম কাপড়ের ট্রাউজার্স, কালো রোদ চশমা আর মুখ ঢাকা ছিল কালো মাস্কে। আইনজীবীদের একটি দল তাঁর সঙ্গে গিয়েছিল জেলের ভিতরে। টানা ১৫ মিনিট জেলের ভিতরে ছেলের কাছে ছিলেন শাহরুখ। তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কী কথা হয়েছে তা নিয়ে এখনও কিছু জানাতে রাজি নন কেউ।
অন্যদিকে ওই দিনই এনসিবি’র এক প্রতিনিধির দল অভিযান করেন শাহরুখের বাড়িতে। তবে এনসিবি তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় তল্লাশি চালাতে নয়, বরং আরিয়ান সংক্রান্ত কিছু দরকারি তথ্য বিনিময়ের কারণেই তাঁদের এই মন্নত অভিযান। আরিয়ানের ল্যাপটপ সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস যাতে তাঁর পরিবারের তরফে এনসিবিকে হস্তান্তর করা হয় সে কারণেই এক নোটিস দিতে মন্নত পৌঁছন তাঁরা। এ মাসের শুরু থেকেই জেলে বন্দি আরিয়ান। বাবা শাহরুখসহ গোটা পরিবার চিন্তিত। এরই মধ্যে অনন্যার তলব ক্রমশ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে বলিউডের ‘বিগ নেম’দের অন্দরমহলে।