আসছে শাহরুখের ‘পাঠান’। আসছে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি। অনন্ত অপেক্ষার অবসান হবে। হলে মুক্তি পাবে শাহরুখ অভিনীত ছবি। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের রাতেই। ২ মার্চ টিজ়ার প্রকাশ্যে এসেছে ছবির। ছবিতে রয়েছেন জন আব্রাহাম ও দীপিকা পাড়ুকোন। তারপরই টুইটারে একটি প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন শাহরুখ। শাহরুখকে পেয়েই এক নেটিজ়েনের প্রশ্ন, “চার বছর আপনি কোথায় ছিলেন?” শাহরুখের উত্তর চমকে দিয়েছে যাকে বলে। নেটিজ়েনের প্রশ্নে জবাবে কিং খান বলেছেন, “আপনার স্বপ্নে ছিলাম আমি।”
গত বছরের শেষের দিকে খুব খারাপ সময় কাটিয়েছেন শাহরুখ ও তাঁর পরিবার। ছেলে আরিয়ান খান মাদক-কাণ্ডে জড়িত হয়ে প্রায় এক মাস মুম্বইয়ের আর্থার রোডের জেলে। অনেক চেষ্টার পর আরিয়ানের জামিন হয়েছিল। চারমাস সোশ্যাল মিডিয়া থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন শাহরুখ।
অক্টোবরের এক রাতে আরব সাগরের তীরে যে প্রমোদতরীতে মাদকের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সেখানে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ-পুত্র। সেদিনই মুম্বই থেকে ছাড়ার কথা ছিল কর্ডেলিয়া এমপ্রেস শিপের। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্য়দের নিয়ে তিনদিনের মিউজিক্যাল সফরে যাওয়ার কথা ছিল ওই ক্রুজশিপের। কিন্তু জাহাজ ছাড়ার আগেই এন সি বির কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, ওই প্রমোদতরীতে মাদক সেবনও চলবে। এরপরই ছদ্মবেশে হানা দেয় এন সি বির আধিকারিকরা।
মুম্বইয়ের বন্দর ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনসিবি। বাজেয়াপ্ত হয় বিপুল পরিমাণ মাদক। গতরাতেই এনসিবির তরফে জানানো হয়েছিল, ওই প্রমোদতরণীতে উপস্থিত সকলকে জেরা করা হচ্ছে। সেই সময় বলিউডের কেউ উপস্থিত রয়েছেন কিনা, প্রশ্ন করা হলে তারা উত্তর দেননি। কিন্তু এ দিন সকালেই জানা যায়, ওই ক্রুজে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানও। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ান রেকর্ড করে গ্রেফতার করা হয়।
তবে একা আরিয়ান খান নন, গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানরাও। এরমধ্যে দিল্লির এক বিখ্যাত ব্যবসায়ীর কন্যারাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। আরবাজ মারচেন্ট, মুনমুন ধামেচা, নুপুর সারিকা, ইসমাত সিং, মোহাক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত ছোকর ও গোমিত চোপড়া নামক আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সকলেরই ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এন সি বি সূত্রে জানা গিয়েছিল, আরিয়ানের চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছিল, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এম ডি এম এ পিলস ছিল।
যদিও আরিয়ানের তরফে তাঁর কৌঁসুলি সতীশ মানশিন্ডের দাবি, ওই প্রমোদতরীর কোনও টিকিট তাঁর কাছে ছিল না। শুধুমাত্র তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরিয়ানের জামিনের আবেদনও করেছিলেন তিনি। অনেক চেষ্টার পর মুম্বই হাইকোর্ট জামিনে মুক্ত করেছিল আরিয়ানকে।