রাজ কুন্দ্রা মামলায় প্রথম থেকেই শিরোনামে ছিলেন মডেল অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই শার্লিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কী কী প্রশ্ন তাঁকে করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন শার্লিন। শুধু তাই নয়, তাঁর অভিযোগ পর্নোগ্রাফি নিয়ে এর আগে যখনই কথা বলতে গিয়েছেন, তাঁকে ট্রোল করা হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে শার্লিন বলেন, “আমি যখনই পর্নোগ্রাফি নিয়ে কথা বলতে গিয়েছি আমাকে ট্রোল করা হয়েছে। ২০১২-এ একটি অ্যাডাল্ট ম্যাগাজিনের জন্য শুট করেছিলাম। সত্যিই বোল্ড কনটেন্ট শুটিং করা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু যখন আইন অমান্য করা হচ্ছে, তখন তা নিয়ে তো প্রশ্ন থাকবেই। কোনও কর্তৃপক্ষই বেআইনি পর্নোগ্রাফিকে সমর্থন করবে না। সুতরাং যাঁরা বলেন, আমরা পর্নোগ্রাফি দেখি, এতে ভুল কী আছে? তাঁদের মনে রাখতে হবে, সরকার সব পর্ন ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ করেছে।”
শার্লিন মনে করেন, আইন সকলের মেনে চলা উচিত। যাঁরা পর্নোগ্রাফি দেখছেন, তাঁদেরও দোষ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। যে মেয়েরা রাজের অ্যাপে কাজ করেছেন, তাঁরাও ভারতে আইনত পর্নোগ্রাফি যে নিষিদ্ধ, তা হয়তো জানতেন না বলে মনে করেন শার্লিন। তাঁর কথায়, “রাজের সম্মতি ছাড়া কোনও মহিলা ওই অ্যাপে কাজ করতে পারেন না, এটা সত্যি। কিন্তু যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের সম্ভবত ভুল বোঝানো হয়েছিল। পর্নোগ্রাফি নিয়ে ভারতের আইন সম্পর্কে তাঁরা জানতেন না বলেই মনে হয়। সে কারণেই অনুরোধ করছি, যারা এর শিকার সকলে এগিয়ে আসুন, কী ভাবে তাঁদের অফার করা হয়েছিল গোটা দুনিয়ার সামনে জানান।”
ইতিমধ্যেই এই মামলায় আর্মসপ্রাইম মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান সৌরভ কুশওয়াহাকে ডেকে পাঠায় মুম্বই পুলিশ। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। গোটা মামলায় পরোক্ষে রাজ এবং শিল্পাকে সমর্থন করার জন্য অভিনেত্রী রাখি সাওন্তের সমালোচনা করেছেন শার্লিন। তাঁর কথায়, “রাখি সাওন্তের মতো যাঁরা এই ঘটনায় অত্যন্ত সাধারণ মন্তব্য করছেন, তাঁদের বোঝা উচিত আসল তথ্য না জেনে এমন মন্তব্য করা যায় না।”
আরও পড়ুন, মনোজকে এক সময় মহিলাদের ওয়াশরুমে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল কেন?