গুগুল বলছে হায়দরবাদ থেকে মুম্বইয়ের দূরত্ব ৭১২ কিমি। পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে প্রায় ১৪২ ঘণ্টা। তবু প্রিয় নায়ককে দেখার আনন্দের কাছে এ যেন কিছুই নয়। ‘মসিহা’ সোনু সুদের এক ঝলক পেতে এ বার অসম্ভবকে সত্যি করলেন হায়দরবাদের এক যুবক। নাম ভেঙ্কাটেশ। সোনুকে দেখার জন্য হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই এলেন পায়ে হেঁটে, একেবারে খালি পায়ে। সোনুও নিরাশ করলেন না তাঁকে। একসঙ্গে ছবি তুললেন, সেই ছবি পোস্টও করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই তরুণের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে সোনু লিখেছেন, “ভেঙ্কাটেশ, হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই খালি পায়ে হেঁটে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। ওঁর জন্য যাতায়াতের কোনও ব্যবস্থা করার সুযোগই দেয়নি ও। আমি অভিভূত এবং একইসঙ্গে বিনীত।” সোনু যোগ করেন, “যদি আমি সবাইকে এই ধরনের কাজ করতে একেবারেই উৎসাহিত করছি না। তোমাদের সবাইকে খুবই ভালবাসি।”
সোনু সুদকে নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনার প্রমাণ এর আগেও পাওয়া গিয়েছে বহুবার। তাঁর নামে তৈরি হয়েছেন মন্দির। সেখানে দু’বেলা ভগবান হিসেবে পূজিত হন তিনি। তাঁকে ভালবেসে মাংসের দোকানের নামও ‘সোনু’ রেখেছে দোকানি। সোনুর প্রতি ভালবাসা প্রকাশে পোস্টারে দুধও ঢেলেছেন ভক্তরা। কারও কাছে তিনি ‘বিপদের বন্ধু’ আবার কারও কাছে সাক্ষাৎ ‘দেবতা’। আবারও তাঁকে ভালবাসার নজির গড়লেন হায়দরাবাদের ওই যুবক।
আরও পড়ুন-“আমি প্রতারিত,” নুসরতের পাল্টা বিবৃতিতে বললেন নিখিল জৈন; ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকতেন’ তাঁরা
গত বছর করোনার জেরে লকডাউন থেকে শুরু করে, চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়া পর্যন্ত একই রকম ভাবে সাধারণের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন সোনু। বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্যের আবেদন নিয়ে সোনুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাধারণ মানুষ। মাস কয়েক আগে তিনি নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সুস্থ হয়ে ফের শুরু হয়েছে সাধারণের পাশে থাকার লড়াই।