AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুশান্তের মুখ দেখে বোঝা যায়, তিনি নিষ্পাপ ছিলেন: বম্বে হাই কোর্ট

সুশান্তের বোনেদের আইনজীবী বিকাশ সিংহ বলেন, যে হতে পারে আইসিএমআরের বেঁধে দেওয়া টেলিমেডিসিন গাইডলাইন অনুসারে ডাক্তাররা ওইসব ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছিলেন।

সুশান্তের মুখ দেখে বোঝা যায়, তিনি নিষ্পাপ ছিলেন: বম্বে হাই কোর্ট
সুশান্ত
| Updated on: Jan 08, 2021 | 12:28 PM
Share

বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্ট প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ছবিতে তাঁর কাজের প্রশংসা করে বলে যে সুশান্তের মুখ থেকে বোঝা যায় যে তিনি একজন ভাল মানুষ।

৭ সেপ্টেম্বর, সুশান্তের দুই দিদি, প্রিয়াঙ্কা সিং, মীতু সিং এবং সুশান্তের চিকিৎসক তরুণ কুমার, এই তিনজনের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, প্রতারণা, জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন রিয়া চক্রবর্তী। এফআইআর বাতিল করতে চেয়ে আবেদনের রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি এসএস শিন্ডে ও বিচারপতি এমএস করণিকের এক বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছিলেন।

“ঘটনা যা-ই ঘটুক না কেন…সুশান্ত সিং রাজপুতের মুখ দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবে, যে ও নিষ্পাপ এবং সোবার… এবং একজন ভাল মানুষ ছিলেন।” জাস্টিস শিণ্ডে বলেন। তিনি আরও বলেন, “তাঁকে সবাই পছন্দ করতে, বিশেষ করে ‘এমএস ধোনি’ ছবিতে।”

রিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, সুশান্তের বোনেরা এবং ডাক্তার মিলে তাঁকে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টসগুলো দেওয়ার জন্য জালি মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন তৈরি করে।

সুশান্তকে গত ১৪ জুন তাঁর মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এর পিছনে কোনও রহস্য আছে কিনা, জানতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।

আরও পড়ুন ‘থপ্পড়’-এর পরিচালক অনুভব সিনহা থাকছেন এবারের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে

সুশান্তের বোনেদের আইনজীবী বিকাশ সিংহ বলেন, যে হতে পারে আইসিএমআরের বেঁধে দেওয়া টেলিমেডিসিন গাইডলাইন অনুসারে ডাক্তাররা ওইসব ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছিলেন। এটা সিবিআইয়ের তদন্ত করা মূল মামলার অংশ বলেও দাবি করেন বিকাশ।

অন্যদিকে রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে বলেন, যে তাঁর ক্লায়েন্ট জানতেন যে সুশান্ত ওষুধ খেতেন, যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, কিন্তু সে সময় ওই নির্দিষ্ট প্রেসক্রিপশনের কথা তিনি জানতেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা লিক হওয়ার পর বুঝতে পারেন, ওটা সুশান্তের বোনদের তৈরি করা।

রিয়ার বক্তব্য পাঠ করে মানেশিণ্ডে বলেন, আমি ওর কাজের লোককে বলি, ও ওষুধের সঙ্গে মাদক মেশায়। এবং তা বিপদ ডেকে আনতে পারে…আমার মনে হয়, এটা ওর আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। আমি অভিযোগে জানিয়েছি, ওষুধ এমন একজন ডাক্তার দিয়েছেন, যিনি এর আগে কখনও সুশান্তকে ওষুধ দেননি। ওকে সামনাসামনি না দেখে ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়েছিল।

রিয়ার তরফে মানেশিণ্ডে আরও বলেন, আমার অভিযোগ একটি জাল ওষুধের প্রেসক্রিপশন  নিয়ে। সেটাও তদন্ত করা উচিত। ওর পরিবার ওর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিচলিত। ওরা আমায় দায়ি করছে।”

হাইকোর্ট রায়দান স্থগিত রাখে এবং দু’পক্ষকে  লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছে।