Mrs Chatterjee Vs Norway: মনে হচ্ছিল, যা-যা ঘটেছিল আমার সঙ্গে, সবটাই দেখতে পাচ্ছি যেন: বাস্তবজীবনের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ সাগরিকা

Rani Mukherjee: ছবির কাহিনিটি বাস্তব। সত্য জীবনেও এমনটা ঘটেছে কলকাতার বাসিন্দা সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি ট্রেলার দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

Mrs Chatterjee Vs Norway: মনে হচ্ছিল, যা-যা ঘটেছিল আমার সঙ্গে, সবটাই দেখতে পাচ্ছি যেন: বাস্তবজীবনের 'মিসেস চ্যাটার্জি' সাগরিকা
রিল এবং রিয়েল: (বাঁ দিকে) 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' ছবিতে রানি শিশুশিল্পীদের সঙ্গে রানি মুখোপাধ্যায়, নিজ সন্তাদের সঙ্গে বাস্তবের সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2023 | 6:52 PM

অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলার অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সেই ছবির নাম ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে এই ছবির ট্রেলার। নওয়েতে স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে যান মিসেস চ্যাটার্জি। তাঁদের দুই সন্তান। একটা সময় পর দেখা যায় নওরয়ে সরকার সেই বাচ্চা দুটিকে তাদের মায়ের থেকে কেড়ে নিয়েছে। তারপর থেকে শুরু হয় সন্তানকে ফিরে পেতে মায়ের একাকী লড়াই। যে লড়াই তাকে করতে হয় নরওয়ে সরকারের সঙ্গে। এই কাহিনি বাস্তব। সত্য জীবনেও এমনটা ঘটেছে কলকাতার বাসিন্দা সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁরই জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবির চিত্রনাট্য। এবার ট্রেলার দেখে মুখ খুলেছেন সাগরিকা। কী বলেছেন তিনি?

সাগরিকা বলেছেন, “নিজের গল্প যখন এভাবে দেখানো হয়, তখন নিজের কথা নিজ মুখে বলতে অসুবিধা হয়। ছবির ট্রেলার আমি দেখেছি। মনে হচ্ছিল, যা-যা ঘটেছিল আমার সঙ্গে, সবটাই দেখতে পাচ্ছি যেন। আমার বারবারই মনে হয়েছে, এই গল্পটা মানুষের জানা দরকার। জানা উচিত আজও প্রবাসী মায়েদের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়। অরিহা শাহের মা ধারার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। ওর ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমি অনুরোধ করব সকলে ওর পাশে থাকুন। আমি আছি যেভাবে। আমার সমর্থন শর্তহীন।”

তারপর তিনি রানি মুখোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, “সন্তানদের ফেরত পেতে আমাকে যে কষ্ট পেতে হয়েছে, তা রানি মুখোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন দারুণভাবে। তিনি নিজেও একজন মা। এক মায়ের জার্নিকে এভাবে পর্দায় তুলে ধরার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই তাঁকে। তাঁকে ট্রেলারে দেখার পর আমি নিজে ভেঙে পড়েছিলাম ভীষণ রকম।”