তাঁরা প্রেমে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিডিএ করতেও তাঁদের জুরি মেলা ভার। তাঁরা অর্থাৎ অনুষ্কা শর্মা এবং বিরাট কোহলি। সদ্য পুলের ধারে নিজের চমৎকার একটি ছবি শেয়ার করেছেন অনুষ্কা। আর সেখানে বিরাটের কমেন্ট নজর কেড়ে নিয়েছে অনুরাগীদের।
অনুষ্কার ফ্রেশ এই ছবিতে বিরাট কার্যত ইমোজি দিয়েই কমেন্ট করেছেন। আর সেখানেই ধরা পড়েছে একাধারে বন্ধু, প্রেমিকা, স্ত্রীয়ের প্রতি তাঁর ভালবাসা। এই ভার্চুয়াল প্রেমে মজে বিরাট-অনুষ্কার অনুরাগীরাও।
বিরাটের মতো ক্রিকেটীয় হতে চলেছে অনুষ্কার জীবনও। তাঁকেও দেখা যাবে বাইশ গজে। বাঙালি মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিকে ঝুলনের চরিত্রে দেখা যাবে অনুষ্কাকে। সেই প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছেন অনুষ্কা। তবে সম্প্রতি অভিনয় থেকে প্রযোজনায় বেশি মন দিয়েছেন তিনি। তাঁর ছবি ও ওয়েব সিরিজ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি করেছেন ‘পাতাল লোক’ ও ‘বুলবুল’। ইরফান খানের পুত্র বাবিলকে লঞ্চ করছেন তিনিই। ছবির নাম ‘কালা’।
অনুষ্কা-বিরাটের একমাত্র কন্যা ভামিকা। তার নামের সংস্কৃত অর্থ দুর্গা। ফলে দুর্গাপুজো বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মার কাছে স্পেশ্যাল তো বটেই। মেয়ের মুখ এখনও তাঁরা ক্যামেরার সামনে স্পষ্ট করে শেয়ার করেননি। তবে ভামিকার নতুন একটি ছবি দিয়ে দিন কয়েক আগে চলতি বছরের দুর্গাষ্টমী আরও স্পেশ্যাল করে তুলেছিলেন অনুষ্কা। তিনি ওই ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমাকে প্রতিদিন আরও বেশি সাহসী করে তোলো। প্রার্থনা করি ঈশ্বরের শক্তি সব সময় তুমি তোমার অন্তরে অনুভব করো। শুভ অষ্টমী ভামিকা।’ কেন মেয়ের মুখ সোশ্যাল ওয়ালে দেখান না, সে বিষয়েও স্পষ্ট মতামত জানিয়েছিলেন অনুষ্কা। তিনি স্পষ্ট করেন, ভামিকা নিজে আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপারটা বুঝতে শিখুক। তারপর ও চাইলে তবেই ওর ছবি থাকবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওর হয়ে এই সিদ্ধান্ত বাবা, মা হিসেবে বিরাট এবং অনুষ্কা এই সিদ্ধান্ত নেবেন না।
২০০৬ সালে বাবাকে হারিয়েছেন ক্রিকেট অভিনায়ক বিরাট কোহলি। হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান হঠাৎই। মেয়ে ভামিকাকে বাবা দেখে যেতে পারলেন না, তাই নিয়ে কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরাট। চলতি বছরের শুরুতে জন্ম নেয় অভিনেত্রী-প্রযোজক অনুষ্কা শর্মা ও ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলির কন্যা ভামিকা। তাঁদের সন্তানের জন্মে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি হয়েছিলেন বিরাটের মা। কিন্তু নাতনিকে দেখে যেতে পারেননি অনুষ্কার শ্বশুর মশাই, অর্থাৎ বিরাটের বাবা। তাই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বিরাট বলেছিলেন, “বাবা আমাকে খেলতে দেখে যেতে পারেননি। আমার মেয়েকে দেখে যেতে পারেননি। মা যখন ভামিকার দিকে তাকিয়ে থাকেন, আমি মায়ের চোখেমুখে আনন্দ দেখতে পাই। সেই আনন্দ আমি বাবার মুখেও দেখতে চেয়েছিলাম। বাবা বেঁচে থাকলে কী করতেন দেখতে পারলাম না।”
আরও পড়ুন, Sreelekha Mitra: কথা রাখলেন শ্রীলেখা, কী ভাবে? দেখুন…
আরও পড়ুন, Bengali film: ‘কুলপি’র প্রেম কি আদৌ পরিণতি পাবে? আসছে এক অন্য ধারার গল্প…