অগস্টের প্রথম রবিবার– বন্ধুত্ব দিবস। সোশ্যাল মিডিয়া উপচে পড়ছে স্পেশ্যাল শুভেচ্ছা বার্তায়। আপনিও নিশ্চয়ই আপনার প্রিয় বন্ধুটিকে সেরে ফেলেছেন উইশ? তবে শুধু আপনিই নন, বলিপাড়াতেও এরকম বন্ধুত্ব দেখা গিয়েছে বহুবার। যেমন আমির খান ও সলমন খান। দুজনের মধ্যে অশান্তি হয়েছে, হয়েছে কথা বন্ধও। তবু বন্ধু অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে পড়লে কার্যত নিজের ঘাড়ে দোষ নিয়ে তাঁকে বাঁচিয়েছেন অন্যজন।
সাল ১৯৯২। সে সময় আমির ও সলমন, দুই খানই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় নতুন। আমির তখন বিবাহিত, স্ত্রী রীনা দত্ত। সে সময় এক সহ-অভিনেত্রীকে নিয়ে আমিরের গুঞ্জন বলিউডে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। সলমন গিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। সেখানে সাংবাদিক সলমনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সলমন সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, ” আমিরের ব্যাপারে গসিপটা নয়, গসিপটা আসলে আমার ব্যাপারে। আমিরের ভীষণ ক্লিন ইমেজ, কী জানি কীভাবে ওই এই স্বচ্ছ মূর্তি বজায় রাখে!” সলমন আরও বলেন, “আমির তো বিবাহিত, সব সময় ওকে বলতে শোনা যায় স্ত্রীকে কতটা ভালবাসেও। এই সব বলেই পার পেয়ে যায় ও।” সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন সলমনকে করলে তিনি তার তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, “না, না, না একেবারেই নয়।” এমনই ছিল তাঁদের বন্ধুত্ব।
তবে এই বন্ধুত্বেও চিড় ধরেছিল ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ শুটিংয়ের সময়। আমির-সলমন ছাড়াও ওই ছবিতে ছিলেন করিশ্মা ও রবিনা। আমির-সলমনের কথা বন্ধ, অন্যদিকে রবিনা-করিশ্মাও কথা বলতেন না… এ কথা নিজেই পরবর্তীকালে ফাঁস করেছিলেন রবিনা টন্ডন। যদিও সে সব অতীত। দুই খানের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক বেশ ভালই।