বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম বিদ্যা বালন। সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ক্ষমতা আছে তাঁর। ‘ডার্টি পাকচার’ মুক্তি পাওয়ার পর পরই মুক্তি পেয়েছিল বিদ্যা অভিনীত ‘কাহানি’। অল্প সময়ের ব্যবধানে তৈরি দুটি ছবিতে একেবারে বিপরীত মেরুর দুটি চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ‘তুমহারি সুলু’, ‘শকুন্তলা দেবী’, ‘শেরনি’র মতো একাধিক নারী কেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করেছেন লিড রোলে। হিন্দি সিনেমার নতুন ইতিহাস তৈরিতে অন্যতম দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যা।
এহেন বিদ্যাকে পদে পদে শুনতে হয়েছে কটাক্ষ। দেহের আকার নিয়েও হতে হয়েছে ট্রোলড। কিন্তু এসব কিছুই থামিয়ে রাখতে পারেনি বিদ্যাকে। নিজের উপর বিশ্বাস ও মনের জোরেই আজ বিদ্যা সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন।
সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা ও স্পর্শের অভিজ্ঞতা নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি কথা বলেছেন বিদ্যা। এদেশে শারীরিক অন্তরঙ্গতা এখনও ট্যাবু, মনে করেন বিদ্যা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের অন্তরঙ্গতা নিয়ে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি অকপট বলেছেন, “যিনি বলেছেন ৪০ বছর বয়সের পর মহিলারা অন্তরঙ্গতার ব্যাপারে ‘দুষ্টু’ হয়ে ওঠেন, তিনি ঠিক বলেছিলেন। অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে আমরা বেশি কথা বলি না। ‘এটা ভাল বিষয় নয়’, এটাই আমাদের শেখান হয়েছে ছোট থেকে। কিন্তু আমি বলব, বয়স বাড়লে মহিলারা অন্তরঙ্গতা বেশি উপভোগ করেন। এর কারণ, তাঁরা চারপাশকে তোয়াক্কা করা কমিয়ে ফেলেন। নিজেকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। অন্তরঙ্গতায় সুখ খুঁজতে শুরু করেন।”
বিদ্যা জানিয়েছেন, শুরুতে তিনি অত্যন্ত সিরিয়াস একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি সবকিছু উপভোগ করতে শিখে গিয়েছেন। বলেছেন, “আমি আর পৃথিবীর বোঝা নিজের কাঁধে তুলে ঘুরি না। ২০ বছর বয়সে নিজের স্বপ্ন সত্যি করার কথাই ভাবতাম বেশি। ৩০ বছর বয়সে নিজেকে চিন্তে শিখেছিলাম। ৪০ বছরে এসে বুঝলাম জীবনকে ভালবাসতে হয়।“
আরও পড়ুন: Naaja Song: ‘সূর্যবংশী’র ‘নাজা’ গানে অক্ষয়-ক্যাটরিনার পারফরম্যান্স তাক লাগাল ফের একবার