হলুদ রঙা একটা স্মাইলি। কখনও বা ব্রাউন। চশমা চোখে দেঁতো হাসি আছে। চোখ মাথার উপর তুলে অবাক হওয়া আছে। হাসতে হাসতে চোখে জল এসে যায় মাঝে মধ্যে ওই হলুদ মুখটার। কখনও বা দুঃখে চোখ নামিয়ে নেন। চেনেন তো হলদে রঙা এই মুখটাকে? নিশ্চয়ই চেনেন। আলবাৎ চেনেন। হোয়াটস্অ্যাপ ব্যবহার করলে ওই হলুদ মুখ তো আপনার দৈনন্দিনের পড়শি। অর্থাৎ ইমোজি।
শুধু এই হলুদ মুখের নানা অভিব্যক্তি নয়। আপনার হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাটে লাল রঙের হৃদয়, বেগুণি রঙের বেলুন, ছোট গাছ, চুল কাটা মেয়ে, গোলাপি আইসক্রিম, বিভিন্ন দেশের পতাকা, থাম্বস আপ, চিকেনের ঠ্যাং… কী নেই! এগুলো সবই ইমোজি। আর আজ ইমোজিরই দিন। ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে।
লক্ষ্য করলে দেখবেন, এখন আমাদের কথোপকথনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইমোজি। বসের মিটিংয়ে উপস্থিতি, ভাল কাজের বাহবা, বন্ধুর মন খারাপ, দূর দেশ থেকে পাঠানো বাবা, মাকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা উপহার, প্রিয়জনের উপর রাগ, অভিমান, সবই সেরে ফেলা যায় ইমোজি দিয়ে। যে কথা বলতে চাইছেন, তা প্রকাশ করার হরেক ইমোজি রয়েছে। প্রয়োজন মতো বেছে নেওয়াটাই আপনার কাজ।
ইমোজি যে এখন ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম তা এক কথায় মেনে নিয়েছেন টলিউডের নতুন প্রজন্মের দুই প্রতিনিধি। একজন অবন্তিকা বিশ্বাস। পাভেল পরিচালিত ‘রসগোল্লা’ ছবিতে যাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। হাতে রয়েছে আরও বেশ কিছু কাজ। দ্বিতীয় জন অরিত্র দত্ত বণিক। ইন্ডাস্ট্রির পিচে ব্যাট করতে নেমেছেন ছোটবেলায়। অভিনয়, সঞ্চালনা তো বটেই, সিনেমার টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি নিয়েও ক্যামেরার পিছনে প্রচুর কাজ করছেন তিনি।
এ হেন দুই শিল্পী দিনের বেশিরভাগ সময় ইমোজিতেই সেরে ফেলেন প্রয়োজনীয় কথা। কোন এক্সপ্রেশনের কোন ইমোজি ব্যবহার করছে নতুন প্রজন্ম, তা অবন্তিকা এবং অরিত্রর চোখ দিয়ে জানার চেষ্টা করল TV9 বাংলা।
দেখুন তো, ওদের সঙ্গে আপনার এক্সপ্রেশন মিলছে কি না।
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস
আরও পড়ুন, ‘কে আপন কে পর’ শেষের পর কী করছেন ‘জবা’ ওরফে পল্লবী?