ক্লাসিক্যাল মিউজ়িকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ, রেওয়াজ, তালিম… এই প্রজেক্টটার জন্য সেটা আবার আমার কাছে ফিরে এল: অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়
Arpita Chatterjee: গওহর জানের জীবন এ বার মঞ্চে। সৌজন্যে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। আগামী ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর জি ডি বিড়লা সভাঘরে মঞ্চস্থ হবে অর্পিতার একক অভিনয়ে ‘মাই নেম ইজ জান’। পরিচালনার দায়িত্বে থিয়েটার পরিচালক অবন্তী চক্রবর্তী।
গওহর জান। বাংলা মঞ্চ ইতিহাসের এক বর্ণময় অধ্যায়। এক রঙিন চরিত্রের নাম। সেই গওহরের জীবন এ বার মঞ্চে। সৌজন্যে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। আগামী ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর জি ডি বিড়লা সভাঘরে মঞ্চস্থ হবে অর্পিতার একক অভিনয়ে ‘মাই নেম ইজ জান’। পরিচালনার দায়িত্বে থিয়েটার পরিচালক অবন্তী চক্রবর্তী। গওহরকে জানা, চেনা থেকে শুরু করে পারফরম্যান্সের আগে তৈরি হওয়ার জার্নি TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করলেন অর্পিতা।
১) গওহর জানকে জানার শুরু কবে থেকে?
যে দিন থেকে এই প্রজেক্টটা কনসিভ করা হল। সেটা প্রায় দেড় বছর আগের একটা কথা। এই জার্নিটা চলছে দেড় বছর ধরে। যখন আমার কাছে প্রথম অবন্তী প্রোপোজ় করে ওর ড্রিম প্রজেক্ট আছে, সেটা নিয়ে কাজ করতে চায়, তখন আমি জানলাম। নামটা ফ্যামিলিয়ার ছিল। গওহর জানের জীবন, তাঁর সম্পর্কে তেমন ধারণাও আমার ছিল না। তখন থেকে শুরু করে যা-যা প্রসেস চলল, দেড় বছর ধরে রিসার্চ, স্ক্রিপ্ট, প্র্যাকটিস, রেওয়াজ, কম্পোজ়িশন সব মিলিয়ে এখন তো মঞ্চস্থ হওয়ার দিন এগিয়েই এসেছে। এই দেড় বছরের জার্নিতেই আমি গওহর জানকে চিনলাম।
২) গওহর জানের মতো চরিত্রকে নিয়ে কাজ করার কথা ভাবলেন কেন?
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমি যে-যে পারফর্মিং আর্টগুলো শিখেছি, জানি, সেগুলো একসঙ্গে দর্শকের সামনে তুলে ধরার সুযোগ আজ পর্যন্ত কখনও পাইনি। গান, নাচ এবং অভিনয়। এই তিনটে শৈলি—যেগুলো বহু বছর ধরে শিখেছি, জানি—একসঙ্গে দেখানোর সুযোগ আগে কখনও আসেনি। আমার এটা দুর্লভ সুযোগ মনে হয়েছিল যেখানে এই তিনটে একসঙ্গে দর্শককে দেখাতে পারব। সে কারণেই সঙ্গে সঙ্গে আমি ‘হ্যাঁ’ বলি।
৩) অনেক ছোট থেকেই আপনি স্টেজ পারফরম্যান্স করেন। তবুও নতুন কাজের আগে পরীক্ষার মতো ভয় লাগছে কি, এতদিনের প্রস্তুতির পর ফাইনাল ডে এসে গেল প্রায়…?
খুব ছোট থেকে স্টেজ করলেও প্রথম পারফরম্যান্স হোক বা ১০০ তম শো, প্রত্যেকবার, প্রত্যেকটা সময় স্টেজে ওঠার আগে আমি খুব নার্ভাস হয়ে থাকি। কত বছর ধরে স্টেজ করছি বা যেটা করতে চলেছি, সেটা আগে হয়তো ৯৯বা র করেছি। কিন্তু সেটা ম্যাটার করে না। যখনই স্টেজে যাচ্ছি. সেটা আমার কাছে প্রথমবার যাওয়ার মতো। সেটা শুধু স্টেজ বলে নয়, ছবি রিলিজের আগেও একই টেনশন কাজ করে। কিন্তু স্টেজে টেনশন অনেকটাই বেশি। কারণ স্টেজে পুরো বিষয়টাই লাইভ। যার কোনও রিটেক হওয়ার সুযোগ নেই।
৪) এত বছর পর মঞ্চে ফেরা, শুধু অভিনয় নয়, গানও লাইভ গাইতে হবে, কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ভীষণই চ্যালেঞ্জিং। কারণ প্রথমত, মঞ্চ মানেই কোনও রিটেক নেই। দ্বিতীয়ত, এটা একক পারফরম্যান্স। এখানে পুরো দায়িত্বটা আমার একার। সেটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং কারণ শুধু অভিনয় নয়, তার সঙ্গে গান-নাচ থাকছে। খুবই চ্যালেঞ্জিং। তিনটে জিনিসকে একা দেড় ঘণ্টা, পৌনে দু’ঘণ্টা ধরে পারফর্ম করা এবং দর্শককের মনোরঞ্জনের পুরো দায়িত্বই আমার উপর, এটা অসম্ভব চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ।
৫) বাংলা থিয়েটারে শাঁওলি মিত্র, ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা একক পারফরম্যান্সে ইতিহাস তৈরি করেছেন। এ বার আপনার একক। কোনও বাড়তি চাপ অনুভব করছেন?
আমার কোনও বাড়তি চাপ মনে হচ্ছে না। কারণ কেউ যদি এই নামগুলোর সঙ্গে আমার নাম কম্পেয়ার করার চেষ্টা করেন, সেটা তাঁদের বোকামিই বলব। কারণ এঁরা সবাই লেজেন্ড। তাঁদের সঙ্গে আমার কোনও কম্পারিজ়ন চলে না। এরকম কাজ আগে হয়েছে। ডেফিনেটলি প্রত্যেকটা কাজ প্রত্যেকটা কাজের থেকে আলাগা। যদি শুধু ফর্ম্যাট হিসেবে ধরা যায়, সেটুকুই যোগসূত্র। ওগুলোও সোলো অ্যাক্ট ছিল, এটাও সোলো অ্যাক্ট। যেখানে আর কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রী থাকছেন না। এটুকু যোগসূত্র ছাড়া বাকি আর কোনওরকম কোনও মিল থাকার জায়গা নেই। কারণ সে সময়টাও আলাদা। এখনকার সময় আলাদা। প্রোডাকশন আলাদা হয়ে গিয়েছে। মানুষের চিন্তাভাবনা আলাদা হয়ে গিয়েছে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা হয়ে গিয়েছে। এন্টারটেইনমেন্টের পুরো সংজ্ঞাটাই চেঞ্জড হয়ে গিয়েছে। সে জন্য এই কম্পারিজ়ন আমার মনে হয় না একেবারেই ঠিক। তাঁরা লেজেন্ডস। আমি চেষ্টা করছি। এটুকু বলতে পারি। অসম্ভব চেষ্টা করছি। অসম্ভব পরিশ্রম করছি। ২০০ শতাংশ সততা দিয়ে চেষ্টা করছি এটুকু বলতে পারি। আমি আনফরচুনেটলি এই সংক্রান্ত কোনও পারফরম্যান্সই দেখিনি। দেখলে হয়তো বিরাট লার্নিং আমার হত। কিন্তু হয়তো কোথাও মনের মধ্যে কোনও একটা চেহারা, কোনও একটা চরিত্র নিয়ে প্রেশার থাকত। অতটা ভাল হচ্ছে কি না বা অতটা পৌঁছতে পারছি কি না, সেটা হয়তো হত। আমার দেখা হয়নি বলে আমার সামনে কিছু নেই। আমি নিউট্রাল জায়গা থেকে চেষ্টা করছি।
৬) নাথবতী অনাথবৎ-এর পরে এই ধরনের প্রোডাকশন আর তেমন হয়নি। অর্পিতার একক পারফরম্যান্স দেখতে দর্শক কী ধরনের প্রত্যাশা নিয়ে আসবেন? আপনার কী বার্তা?
প্রথমত পারফরম্যান্স দেখে বক্তব্য সব সময় দর্শকেরই থাকা উচিত, আর সেটাই থাকে। পারফর্মারদের কোনও বক্তব্য থাকে না। পারফর্মারদের একটাই বক্তব্য থাকে আপনারা এসে শো দেখুন, তারপর ফাইনাল ভার্ডিক্ট আপনারা দিন। কারণ এই সব কিছু করাই দর্শকের জন্য। ওঁরাই কারণ। ফলে বার্তা দর্শকের থেকে আসবে ১৮ এবং ১৯ তারিখের পরে। দর্শকের ভাল লাগল নাকি ভাল লাগল না। আমি ওটাতেই বিশ্বাস করি। যে কোনও কনটেন্টই—স্টেজে হোক অনস্ক্রিন হোক—আমি যদি নিজেকে অডিয়েন্সের জায়গায় বসিয়ে কোনও অডিয়ো-ভিস্যুয়াল কনটেন্ট দেখি, একটাই উত্তর: ভাল লেগেছে নাকি ভাল লাগেনি।
৭) দেড় বছরের প্রস্তুতি পর্ব, কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন ভাবলেই কঠিন। আবার না-ভাবলেই নয়। তার কারণ পরিশ্রম ছাড়া তো কোনও কিছুই হয় না। কারণ বসে থাকলে তো কোনও কিছু ঘটে যায় না। পরিশ্রম তো করতে হবে। পার্ট অফ দ্য প্রসেস। ফলে আলাদা করে কঠিন মনে হয়েছে, এমনটা নয়। বরং আমি খুব এনজয় করেছি। তার প্রথম কারণ পাঁচ-ছ’বছর বয়স থেকে হিন্দুস্তান ক্লাসিক্যাল মিউজ়িক শিখেছি এবং অরুণ ভাদুড়ি, শিপ্রা বসু, রশিদজীর মতো গুরুদের পেয়েছি, আমি ভাগ্যবতী, সেই ১৫, ২০ বছরের শিক্ষা সেটা হয়তো কিছু সময়ের জন্য আমার জীবন থেকে চলে গিয়েছিল। ক্লাসিক্যাল মিউজ়িকের সঙ্গে আমার যে যোগাযোগ, রেওয়াজ, তালিম, সেটা একেবারেই আমার জীবন থেকে চলে গিয়েছিল। এই প্রজেক্টটার জন্য সেটা আবার আমার কাছে ফিরে এল। সেই পুরনো স্মৃতি, আবার যখন ক্লাসিক্যাল তালিম নিতে শুরু করি, রেওয়াজ করতে শুরু করি, একটা নস্ট্যালজিয়া কাজ করেছে। সেটা একটা ভাল লাগার জায়গা। প্রথম-প্রথম কঠিন তো লেগেইছে। হচ্ছে না, আমি পারতাম, এখন পারছি না। কিন্তু সেই কঠিন জিনিসটার মধ্যেও এই ভাল লাগাটা ছিল। দ্বিতীয় কারণ নাচের ক্ষেত্রে। আমি ভারতনাট্যম শিখেছি। কিন্তু কথ্থক কখনও শিখিনি। এই প্রোডাকশনটায় কথ্থক দরকার ছিল। সেই শৈলীটা রপ্ত করতে আমাকে বেশ ভুগিয়েছে। কারণ যে কোনও ক্লাসিক্যাল ফর্ম কয়েক মাসের চেষ্টায় রপ্ত করা যায় না। যেহেতু গওহর জানকে আমরা প্রাথমিকভাবে চিনি বা ওঁর প্রাথমিক পরিচিতি গান ঘিরে। নাচ ওরিয়েন্টেড নয়। সে কারণে আমরা নাচের ভাগ কম রেখেছি। রিসার্চ সেটাই বলছে। সে কারণে হয়তো খানিকটা আমার সুবিধে হয়েছে। হ্যাঁ, কথ্থক রপ্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে। যেটুকু রপ্ত করতে পেরেছি, বেশ খাটনি খাটতে হয়েছে। বেশ কঠিন। তার সঙ্গে ভাল লাগা হচ্ছে, একটা ক্লাসিক্যাল ধারা… সেটা কোথাও একটু হলেও শেখা হয়ে গেল। সেটা একটা ভাললাগার জায়গা। আর ওভারঅল আমি শিল্পী হিসেবে বলব, আমার মনে হয় এটা সব শিল্পীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, আমি জানি না, আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, যখন ভাল কাজের সুযোগ পাই, যেটা চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু সেই কাজের মধ্যে গিয়ে গেলে আমি শিল্পী হিসেবে অনেক কিছু শিখব আর আমার গুণগত মান আরও উন্নত হবে। এরকম সুযোগ যদি কোনও কাজের মধ্যে পাই, সেটা যত পরিশ্রমই হোক, যত কষ্টই হোক, যত কঠিনই লাগুক, সেটা করার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ আছে। এটা অনেক অনুভূতির মিশ্রণ। কষ্ট, পরিশ্রম, সেই সঙ্গে একটা ভাল লাগা, একটা তৃপ্তি।
৮) ক্লাসিক্যাল মিউজিক, গান যে এত বছর পরে আপনার জীবনে ফিরল, গানকে পেশা হিসেবে সিরিয়াসলি নিতে ইচ্ছে করছে না?
প্রফেশন হিসেবে নেব কি না, সে সিদ্ধান্ত আগামী ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বরের পরে নেওয়া হবে যে দর্শক আমার গান শুনে কী বললেন। আমার ভাল লাগল, সেটা তো কথা নয়। যে কোনও পারফর্মিং আর্ট, সেটা যদি প্রফেশন হিসেবে নিতে হয়, সেটা দর্শকের জন্য, শ্রোতাদের জন্য। বাড়িতে বসে গান প্র্যাকটিস করলে কেউ বারণ করবে না। কিন্তু প্রফেশনাল সিঙ্গার হতে গেলে দর্শক, শ্রোতাদের ভূমিকা চলে আসবে। ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বরের পরে দর্শক আমার গান কী ভাবে নিচ্ছেন, তাঁদের ভাল লাগছে কি না, সেটা আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। তবে এটুকু আমি বলতে পারি, ব্যক্তি হিসেবে আমার জীবন থেকে যেটা চলে গিয়েছিল, সেটা আবার ফিরে এসেছে। প্রফেশনাল সিঙ্গার হলাম কি হলাম না বা কতটা হলাম তার ঊর্ধ্বে গিয়ে আমি এটা আর জীবন থেকে যেতে দেব না। আমি নিজে এই চর্চাটার সঙ্গে থাকব।
৯) গওহর তাঁর স্টারডমকে সেলিব্রেট করতেন। এক-এক পার্টির জন্য সে সময় নাকি ২০ হাজার টাকা খরচ করতেন। এক-একটা সিটিংয়ের জন্য তিন হাজার টাকা চার্জ করতেন। রেকর্ডিংয়ের সময় নাকি এক গয়না দু’বার পরতেন না। এ ভাবে ধরে রাখতেন স্টারডম। অর্পিতার কাছে স্টারডমের ডেফিনেশন কী, আপনি সাফল্যকে কী ভাবে দেখেন?
সাফল্য এবং স্টারডম দু’টো আলাদা জিনিস। স্টারডম বলতে আমি যেটা বলতে চাই, সময়টা চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। এখন স্টারডম আর নেই। সত্যি বলছি। সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আসার পরে স্টারডম আর নেই। এই শব্দটা আর নেই। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। সেটা সব ক্ষেত্রে। এরকম অদ্ভুত সময় আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমাদের মেনে নিতেই হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়। আমাদের সেটা মেনে নিতে হবে। এখন সবাই সবটা জানে। আর সাফল্য আমার কাছে আরও একটা পুশ। আরও ভাল কাজ করার ইচ্ছে তৈরি করে।
১০) গওহর জানের শেষ জীবন সুখের নয়। এক সময় কোটিপতি ছিলেন। এক সময় নিঃস্ব হয়েছেন। গওহরের জীবন আপনাকে কী শেখাল?
গওহরের জীবন আমাকে কিছু শেখাইনি। আমি যেটা বিশ্বাস করতাম, আবার প্রমাণ করল আমার ভাবনাটা ঠিক। টাকা, পয়সা, নাম, যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তি, সাফল্য এগুলোর থেকেও জীবনে যেটা ভীষণ দরকার, যেগুলো ছাড়া জীবন কমপ্লিট হয় না, কমপ্লিট হওয়ার এলিমেন্ট একটাই, সেটা হল ভালবাসা। এমন কোনও মানুষ যে নিঃস্বার্থভাবে, সব রকম ইকুয়েশনের বাইরে গিয়ে ভালবাসতে পারবে, সেটা যদি জীবনে থাকে, লাভড এবং টু বি লাভড, এটা থাকলে সেই মানুষটার জীবন কমপ্লিট। এই থিওরিটা আমি বরাবরই বিশ্বাস করতাম। গওহরের জীবন থেকেও সেটাই বেরিয়ে এসেছে। রিসার্চ সেটাই বলছে।
১১) গওহরের জীবনে মায়ের ভূমিকা অনেকটাই। আপনার জীবনের শুরুর দিকে তো মা ঘিরে ছিলেন। মাকে মিস করেন?
মার সঙ্গে প্রায় রোজই ফোনে কথা হচ্ছে। মিস কখন করে, যখন মানুষটা তার জীবনে থাকে না, তখন মিস করে। শি ইজ় ভেরি মাচ ইন মাই লাইফ। ফলে একদমই মিস করি না।
১২) সিনেমার অভিনেত্রী, উদ্যোগপতি (Entrepreneur)… এখন সঙ্গীতচর্চা… ব্যক্তি অর্পিতার কাছে এই নানাবিধ IDENTITY-র তাঁর কোন IDENTITY-টা সবথেকে প্রিয়?
এই সবটা নিয়েই আমি অর্পিতা। আ কমপ্লিট উওম্যান, দ্যাট হাউ আই ওয়ান্ট টু সি মাইসেল্ফ। কমপ্লিট তো কোনও একটা এলিমেন্ট দিয়ে হয় না। স্টার্টার থেকে ডেজার্ট সবটা নিয়ে কমপ্লিট হয়।
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ