ডুকরে কাঁদছে ডোকরা, পাশে পুজো কমিটি
বর্ধমান গুসকরাতে এই রকমই একটি ডোকরা শিল্পী গোষ্ঠীর ১০০টি পরিবারের প্রায় ৪০০ সদস্য কোনও রকমে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। পুজোর অনিশ্চয়তার মধ্যেই তাঁদের জন্য এগিয়ে এল বড়িশা ইয়ুথ ক্লাব।
প্রীতম দে
থিমের প্রয়োজনে ওঁদের কলকাতায় এনেছিলেন। সেই থেকে জানা-শোনা। খোঁজ খবর। বছরে অন্তত একটিবার দেখা হবেই। পুজোর একমাস। গত বছর থেকে সেটাও বন্ধ। করোনা এবং তার জেরে লক ডাউন।
কিন্তু যোগাযোগ থাকে। তারপর এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিশেষত গত বছর থেকে কোভিডের কারণে সেই শিল্পী গোষ্ঠীর একটি জগৎ বিখ্যাত ডোকরা শিল্প ও শিল্পীরা আজ বিপন্ন। বর্ধমান গুসকরাতে এই রকমই একটি ডোকরা শিল্পী গোষ্ঠীর ১০০টি পরিবারের প্রায় ৪০০ সদস্য কোনও রকমে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। পুজোর অনিশ্চয়তার মধ্যেই তাঁদের জন্য এগিয়ে এল বড়িশা ইয়ুথ ক্লাব।
সৌরভ দে বড়িশা ক্লাবের সাম্পদক বললেন , “পুজোর সময়ে দরিয়া গ্রামের এই ডোকরা শিল্পীদের সঙ্গে দেখা হয়। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া হয়। সেই কথাগুলো খুব মনে পড়ছিল। ফোন করে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম একেবারেই অবস্থা খারাপ। জানি না এবার পুজোয় কি হবে। তাই-ই পুজোর আগেই আমরা সবাই ক্লাব-এর তরফ থেকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কিছু সাহায্য এবং দিন কয়েকের খাবারের ব্যবস্থা করলাম।”
ডোকরা শিল্পীদের মধ্যে শুভ কর্মকার বললেন, “এই পুজোর সবাই আমাদের খুব চেনা। ওঁদের সাহায্য আমাদের কাজে লাগছে। কিন্তু আমরা চাই কাজ। করোনা সেটা একদম শেষ করে দিয়েছো। কাজ নেই। তাই-ই আমাদের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরনোর মতো।”
আরও পড়ুন- বাজেট নেই, আছে শুধু বাজে খবর; পুজো করার মন নেই কারও