AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arijit Singh: শিবঠাকুরের দেখা পেতে নয়, শ্রাবণ মাসে অরিজিৎ সিংকে দেখতে টানা ৭দিন পায়ে হেঁটে জিয়াগঞ্জ পৌঁছলেন এক ভক্ত

Arijit Singh Fans: প্রায় ২১১ কালোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ভক্ত এসেছেন। ভক্তের নাম দীপ কুমার।

Arijit Singh: শিবঠাকুরের দেখা পেতে নয়, শ্রাবণ মাসে অরিজিৎ সিংকে দেখতে টানা ৭দিন পায়ে হেঁটে জিয়াগঞ্জ পৌঁছলেন এক ভক্ত
ভক্তের সাড়ায় অরিজিৎ সিং...
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 10:47 PM
Share

চলছে শ্রাবণ মাস। এই সময় বাঁক কাঁধে, পায়ে হেঁটে, দল বেঁধে, তারকেশ্বরে পৌঁছে যায় শ’য়ে শ’য়ে তরুণ-তরুণী। ভোলেবাবার মাথায় জল ঢেলে মনের শান্তি খুঁজে পান। শিবঠাকুরের কৃপা পাওয়ার জন্য অনেকে নির্জলা উপবাসও করেন যাত্রাপথে। অনেকখানি পথ হেঁটে আসেন তাঁরা। অনেকগুলো দিন অতিক্রান্ত হয়। এটা তো বাংলার চেনা চিত্র। ভগবানের দেখা পাওয়ার জন্য এই পরিশ্রম করেন ভক্তরাই। কথায় আছে, ভগবানের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় ভক্তের উপস্থিতিতে। সেরকম এক ভগবানের দর্শন পেতে ৭ দিন পায়ে হেঁটে তাঁর কাছে পৌঁছে গিয়েছেন এক তরুণ। ভগবানের নাম অরিজিৎ সিং। ভক্ত দীপ কুমার। এয়ারপোর্ট থেকে পায়ে হেঁটে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন জিয়াগঞ্জে। সেখানেই মূলত অরিজিৎ থাকেন। প্রায় ২১১ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ভক্ত এসেছেন। অভিভূত অরিজিৎ সাড়া না দিয়ে পারেননি।

মনে ইচ্ছে থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব। প্রাণে ভালবাসা থাকলে সবকিছুই জয় করা যায়। সেরকমই এক ভালবাসার অধিকারী হলেন অরিজিৎ সিং। গোটা দেশ তাঁকে ভালবাসে গান ও ব্যবহারের জন্য। অরিজিৎ যে মাটির মানুষ, তা আর নতুন করে বলার দরকার হয় না। একাধিকবার সেই নিদর্শন মিলিছে তাঁরই কর্মে। কোটি টাকার মালিক অরিজিতের জীবন অত্যন্ত সাধারণ। এখনও সময় সুযোগ পেলে জন্মস্থান জিয়াগঞ্জেই থাকতে চলে যান। মুম্বইয়ের বিলাশবহুল জীবন এতগুলো বছরেও তাঁকে বদলাতে পারেনি। সাফল্যে দাম্ভিক হয়ে যাননি তিনি। যে কারণে অরিজিতের ভক্ত সংখ্যা প্রচুর। সেরকমই এক ভক্ত দীপ। প্রিয় তারকার দেখা পাবেন, এই আশায় পায়ে হেঁটে চলে গিয়েছিলেন জিয়াগঞ্জ। অরিজিৎও তাঁকে নিরাশ করেননি। প্রায় আধ ঘণ্টা গল্প করেছেন দীপের সঙ্গে। খুশি মনে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন দীপ।

কেমন ছিল দীপের পায়ে হাঁটা ৭ দিনের সেই যাত্রা?

অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার পর দীপ জানিয়েছেন, ২৬ জুলাই বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা হেঁটে যেতেন। রাতে হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চলে খুব জোরে। ঝুঁকি না নিয়ে সংলগ্ন যে কোনও ধাবায় রাতটা কাটিয়ে পরদিন সকাল হতেই বেরিয়ে পরতেন। এভাবে টানা ৭দিন পায়ে হেঁটে অরিজিতের জন্মস্থান জিয়াগঞ্জে পৌঁছে যান দীপ।

দীপ কী বলেছেন?

অরিজিতের সঙ্গে দেখা করার পর চোখে জল ছিল দীপের। আর স্বপ্নপূরণের আনন্দ ছেয়ে দিয়েছিল মুখে। বলেছেন, “ভাল লাগল। ভক্ত যেমন মনের ইচ্ছাপূরণ করতে পায়ে হেঁটে মন্দিরে যান, আমার সুরের প্রভুর কাছে আমি গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে অরিজিতের দেখাও হয়েছে। এটাই আমার শান্তি। অন্যদিকে আমি নিজেকেই প্রমাণ করলাম, ক্ষুদ্র হলেও আমি ওঁর ভক্ত, যে এত কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এসেছে।”