ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে একসঙ্গে জার্নি শুরু করেছিলেন বনগাঁর অরুণিতা কাঞ্জিলাল ও উত্তরাখন্ডের পবনদীপের। দিন যত এগিয়েছে ততই ওই দুজনের মধ্যে গাঢ় হয়েছে সম্পর্ক। গানের রিয়ালিটি শো’য়েও শুরু হয়েছে প্রেমের গুঞ্জন। ইন্ডিয়ান আইডলের ফাইনালের আগে অরুণিতাকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পবনদীপ। এ বার মুখ খুললেন অরুণিতাও। মুখ খুললেন তাঁর এই জার্নি নিয়েও।
অরুণিতার কথায়, “এই প্ল্যাটফর্মে বহুদিন ধরে আমি আসতে চেয়েছিলাম। যখন ছোট ছিলাম তখন এই অনুষ্ঠানে আমি অংশ নিয়েছিলাম কুন্তু নিজেকে আরও তৈরি করে আসাই ছিল আমার লক্ষ্য। গত বছর লকডাউনে যেই অডিশন নেওয়া শুরু হল, বাবা-মা বলল একবার চেষ্টা করে দেখতে। সেটাই করলাম। আর সেটা করতে করতেই আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে। ফাইনালের খুব কাছাকাছি।” তবে অডিশনের সময় তিনি যে বেশ ভয়ে ভয়েই ছিলেন সে কথা অকপটে স্বীকার করে নেন তিনি। তিনি যোগ করেন, “আমি কখনও ভাবিই নিই, আমি অডিশনে উতরে যাব। আজ যখন অতিথিরা এসে বলে, আমি প্লেব্যাকের জন্য তৈরি সেই কথাগুলোই আমার আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আশা রাখছি ভবিষ্যতেও অনেক ভাল ভাল কাজ করতে পারব।”
তবে শুধু তো গান নয়, ইন্ডিয়ান আইডলের এই সিজনে তাঁর ও পবনদীপের বিশেষ বন্ধুত্ব নিয়েও শুরু হয়েছে বিস্তর আলোচনা। কেউ কেউ বলেন, সস্তা টিআরপি’র জন্য গানের রিয়ালিটি শো’য়ে এই সব ‘ট্রিক’ ব্যবহার করছেন কর্তৃপক্ষ। আবার কারও কারও মতে তাঁদের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু। অরুণিতাকে যদিও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ বলেন, “আমরা ভীষণ ভীষণ ভাল বন্ধু। বাকি প্রতিযোগীদের সঙ্গে আমার যেমন সম্পর্ক পবনের সঙ্গেও তাই। এটা একটা শো। এখানে অনেক কিছুই নিছক মজা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়। আমার মনে হয় মানুষের সব কিছু এত সিরিয়াস ভাবে নেওয়ার কিছু রয়েছে।”
এর আগে পবনদীপ এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “অরুণিতা আমার খুব কাছের বন্ধু। এই শো’য়ে আমরা সবাই একসঙ্গে এত সময় কাটিয়েছি যে অবিচ্ছেদ্য হয়ে গিয়েছি প্রত্যেকে। কিন্তু দর্শকের বোঝা উচিত আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বেশি কিছু নেই। এই মুহূর্তে আমাদের কেরিয়ারের উপর জোর দেওয়ার সময়। বাকি সব কিছু অপেক্ষা করতে পারবে। তবে আমি চাই আমাদের এই সম্পর্ক বুড়ো বয়স পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে…।”
ফাইনালের আর মাত্র দু’দিন বাকি। এর পরেই ঘোষিত হবে সেরার নাম। তবে তার আগেই দুজনেই প্লেব্যাকের অফার পেয়েছেন বলিউডের নামজাদাদের কাছ থেকে। পবনদীপ নাকি অরুণিতা, নাকি ট্রফি নিয়ে যাবেন অন্য কেউ? — এখন সেটাই দেখার।