Kumar Sanu: ‘এখন আর সেই আত্মবিশ্বাসটা নেই…’, কেন বললেন কুমার শানু
Kumar Sanu: তবে সিনেজগতে দাপটের সঙ্গে গান করে যে গায়ক একের পর এক ইতিহাস তৈরি করেছেন, তাঁর জীবনে কি কোনও আক্ষেপই নেই?
কুমার শানু, নব্বই দশকে একের পর এক হিট গান যিনি উপহার দিয়েছিলেন, তাঁর নজরে বর্তমানে গানের জগত ঠিক কতটা সুন্দর? আদপে কি ৩৫ বছরে তাঁর কাটানো সফরে দেখা গানের সঙ্গে তিনি এখনকার গানের তালমিল পান? একটা সময় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ছিলেন কুমার শানু। প্রায় প্রতিটা অ্যালবামেই তাঁদের দেখা যেত। ২১ হাজারের বেশি গান ২৬ ভাষায় গেয়ে ফেলেন কুমার শানু। ফলে এখন আবার এই বিষয়টা মাথায় রাখা কঠিন। কুমার শানুর কথায়, তিনি চেষ্টা করেন ট্র্যাক রাখার। কিন্তু এখন ১ থেকে ২ হাজার গান আর খুঁজে পান না গায়ক। যেভাবে তিনি গান গাইছেন, তাতে শীঘ্রই সংখ্যাটি ২২,০০০ পার করবে।
তবে সিনেজগতে দাপটের সঙ্গে গান করে যে গায়ক একের পর এক ইতিহাস তৈরি করেছেন, তাঁর জীবনে কি কোনও আক্ষেপই নেই? কুমার শানু নিজেই জানিয়েছেন, সিনেপাড়ার সব থেকে বড় সমস্যার কথায়, যা গায়কদের আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুমার শানু বলেছিলেন, ‘আগে সবথেকে সুন্দর বিষয় ছিল কারও কোনও হস্তক্ষেপ থাকত না। সকলের বিশ্বাস থাকত যে তুমি তোমার কাজের প্রতি ন্যায় করবে। তখন কেউ এমন ছিলেন না, যে তোমাকে এসে বলবে, এভাবে নয়, ওভাবে করো। তবে বর্তমানে এই হস্তক্ষেপটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিনেতা হোক, প্রযোজক হোক, পরিচালক হোক বাংলা বিনিয়োগকারি…তাঁরা সঙ্গীত কম্পোজারদের নির্দেশ দেন, আপনি শুধু তৈরি করুন, বাকি আমরা দেখে নেব। অতীতে এমনটা হত না।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘আগে মিউজিক কম্পোজাররাই গায়কদের পছন্দ করতেন। গায়করা কোনওদিনই অভিনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন না। তখন সকলেই এই বিশ্বাস রাখতেন, যদি নাদিম শ্রভন গানটি তৈরি করেন, কুমার শানু গান, তবে তা নিঃসন্দেহে সুন্দরই হবে। সেই আত্মবিশ্বাসটা আজ আর নেই।’