এখনও পর্যন্ত ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটেই (আইসিইউ) রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। সারাক্ষণই তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকের প্যানেল। বছরের শুরুতেই ৮ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন লতা। সেই থেকে আইসিইউতেই রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা বলেছেন, “বার্ধক্যের কারণেই সুস্থ হতে সময় লাগছে লতাজির।”
করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। সেই সঙ্গে বুকে রয়েছে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ। বয়স ৯২। এই মুহূর্তে সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। সোমবার বিভিন্ন মহল থেকে কানাঘুষো জানা যাচ্ছে, লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। উদ্বেগের কারণও নাকি দেখা যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে লতার মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা রটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধরনের মিথ্যে খবর রটছে দেখে মন সত্যিই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা এটা জেনে রাখুন, লতাজি সুস্থ আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এখনও পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালর আইসিইউতেই রাখা হচ্ছে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করুন, যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসতে পারেন।”
গত সেপ্টেম্বরে, ৯২ বছর বয়সে পা দিয়েছিলেন ‘তরুণী’ লতা। পরিবারের নিকটজনেরা সকলেই পাশে ছিলেন। করোনার ভয়ে সঙ্গীত জগতের কেউ আসেননি সেবার। তবুও প্রতিবারের মতো গোটা বিশ্ব ও সঙ্গীত জগৎ থেকে ভেসে এসেছিল লতার জন্য শুভেচ্ছাবার্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেছিলেন, “লম্বা ও সুস্থ জীবন প্রার্থনা করি।”
লিখেছিলেন, “প্রিয় ও সম্মানীয় দিদির জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সারা বিশ্ব গুনগুন করে তাঁর গান। মানবিকতার জন্য সকলে তাঁর মাথায় করে রাখেন। ভারতীয় সংস্কৃতিকে বহন করে নিয়ে চলেছেন প্রিয় দিদি।”
১০০০টি হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছেন লতা। সাত দশক টানা গেয়েছেন এক নাগাড়ে। হিন্দি ছাড়াও গেয়েছেন ভারতের একাধিক আঞ্চলিক ভাষায়। গেয়েছেন বিদেশি ভাষাতেও।