Lucky Ali: ‘লাকি কিন্তু তৃতীয় বিয়ে করতে পারে’, হবু পুত্রবধূকে সতর্ক করেছিলেন মেহমুদ
Lucky Ali: একবার লাকি আলি নিজে মুখেই একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একটি বিয়ের জন্য তিনি উপযুক্ত নন।
লাকি আলি এমন এক গায়ক, যাঁর সুরেলা জাদু বহু আগেই কাবু করেছে আপামর শ্রোতার মন। নিজস্ব অ্যালবাম তো বটেই, হিন্দি সিনেমার কিছু কালজয়ী গান গেয়েছেন লাকি। যেমন ‘এক পল কা জিনা’, ‘না তুম জানো না হম’…। তবে বাবা অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যুর পর হিন্দি সিনেমার প্লেব্যাক থেকে কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন লাকি। আলবিদা জানালেন বলিউডকে। পরবর্তীকালে অবশ্য লাকি বলেছিলেন, বলিউড আর আগের মতো নেই। সেখানে কাজের ধরন অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। অনেকটা সেই কারণেও তিনি সরে এসেছেন। এই লাকি আলির ব্যক্তিজীবন কিন্তু বেশ বর্ণময়। অনেকেই মনে করেন, লাকির জীবন কোনও বলিউড সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয়।
একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে লাকি আলি ব্যক্ত করেছিলেন নিজ জীবনের কিছু রোমহর্ষক কথা। বলেছিলেন, “বলিউডে আমার কিছু নেই আর। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার আর সেই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত থাকতেই ভাল লাগল না। আমার যা শেখার শেখা হয়ে গিয়েছিল। ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন।”
বলিউডের কাজের ধরন নিয়ে চিরকালই খোলামেলা কথা বলেছেন লাকি আলি। অতীতে সেই ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে যতখানি উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিল, পরবর্তীতে সেটা আর পারেনি। ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে লাকি বলেছিলেন, “এই জায়গাটায় খুব অসম্মান-অসভ্যতা রয়েছে। বলিউড অনেক পাল্টে গিয়েছে। এখনকার ছবিগুলো আর আগের মতো উদ্বুদ্ধ করে না। এখন আর এই ছবিগুলি থেকে কিছুই শেখার নেই মনে হয়।”
তবে লাকির নিজের জীবনও বলিউডের চিত্রনাট্যের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয়। তিনি একাধিক পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। অরগ্যানিক ফার্মিং, ঘোড়ার প্রতিপালন থেকে শুরু করে আরও কত কী। তিনবার বিয়ে করেছেন লাকি। একবার তো এও বলেছিলেন, একটি বিয়ের জন্য তিনি উপযুক্ত নন। ২০১০ সালের একটি সাক্ষাৎকারে লাকি বলেছিলেন, “কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা একটি বিয়ের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু আমার মনে হয় না, আমি সেই ব্যক্তি নই। আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি। আমি মুক্ত মনের মানুষ। আমি একাকিত্বে ভুগেছি। আমি ঠকাতে পারিনি। জীবনে প্রলোভন এসেছে যখন, আমি সরাসরি বিয়ে করে নিয়েছি। বারবার মনে হয়েছে, নিজের স্ত্রীর কাছে সৎ থাকো। নিজের স্ত্রীদের ভালবাসো।”
এমনকী, লাকি যখন দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন, বাবা মেহমুদ লাকির দ্বিতীয় স্ত্রীকে সতর্ক করে বলেছিলেন, “সাবধানে থেকো, ও কিন্তু তৃতীয় বিয়ে করতে পারে।”