প্রীতম দে: নাতি ভবানীপুর। দাদু কামারহাটি ।
রথ উল্টোরথ দু ‘ দিনই আসতে নেই! একেবারেই নো লাভলি। মামাবাড়ির দাদু নয়। ঠাকুরদা। ও লাভলি গানটা সে এমন দারুণ গায় যে দাদুই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
গ্রানপা ফেসবুক লাইভ করছেন ক্ষণে ক্ষণে । ওদিকে নাতি চটছে মনে মনে। রথ সাজিয়ে ঠায় বসে। দাদুর দেখা নাই রে দাদুর দেখা নাই। শেষে সূর্যমুখী দিয়ে সাজানো রথ টানতে গিয়ে ফটো গ্রাহকদের ওপরেই চটে লাল নাতি,” অনেক ছবি তুলেছ। আর নয়।এবার রথ টানতে দাও। ”
পরনে সাদা পাজামা পাঞ্জাবি। পায়ে কালো বুট। অনেকটাই নেতা কেতা। হাবভাবেও তাই। দাদু জেতার পর প্রথম রথ । তিন বছর বয়সে নাতির প্রথম রথে সাথে ছিলেন। এমনকি পুরীর মন্দিরেও। ঘরের ছেলে আশা নিয়ে বসে, দাদু আসবে দাদু আসবে আর দাদু তখন লাল সিল্কের ধুতি পাঞ্জাবি লাল জুতো চোখে গগলস পরে এই মঞ্চ থেকে ওই মঞ্চে।
উল্টোরথের ডিউটি দিচ্ছেন মদন ‘ বু বাবা ‘ ওরফে দাদু। “দাদুকে একটু তো মিস করেছেই। তবে যা যা আব্দার করেছে রথের জন্য সব মেটানো হয়েছে।” পুত্রবধূ স্বাতী মিত্র মুচকি হাসেন। “না, রথ কিনে দেয়া থেকে টানা কোনওদিন এমন করেন না বাবা। নিয়ম করে রথ আসবেই। এবারেও তাই। এতটাই চাপ যে নিজে আসতে পারেন নি।” তাছাড়া সামনে তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি। ছোটদের হতে পারে বলে অনুমান। তাই কি এড়িয়ে গেলেন লোলোর “বু বাবা”?
আরও পড়ুন, বলিউডে ড্রাগের ব্যবহার, অবাধ যৌনতা নিয়ে মুখ খুললেন আরবাজ