Vijay Babu Controversy: ‘আমাকে রাক্ষসের মতো একমাস ধরে ধর্ষণ করেছে’, অভিনেতা-প্রযোজক বিজয়বাবুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অভিনেত্রীর
Vijay Babu Assault Case: অভিযোগকারিনীর অভিযোগ জানলে রাতে ঘুমতে পারবেন না। গা শিউরে উঠবে আপনার।
সমস্যার পড়েছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেতা ও প্রযোজক বিজয়বাবু। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ। বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন মালায়াম ছবির জগতেরই এক অভিনেত্রী। তাঁকে নাকি নেশা করিয়ে ধর্ষণ করেছেন বিজয়। একবার নয়, দু’বার নয়… বিজয় তাঁকে ধর্ষণ করেছেন একমাস ধরে। ধারাবাহিক এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৩ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই ফুৎকারে উড়িয়েছেন বিজয়। এমনকী, আইন ভেঙে একটি ফেসবুক লাইভে নাম নিয়েছেন অভিযোগকারিনীর। যার ফলে আরও সমস্যায় পড়েছেন বিজয়। অনেকেই মনে করেন, দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই ঘটনা মিটু আন্দোলনকে ফের জাগিয়ে তুলেছে।
অভিযোগের আঙুল ওঠার পর ফেসবুক লাইভে এসে বিজয় বলেছেন, “আমি কোনও অন্যায় কাজ করিনি। আমাকে ফাঁসান হয়েছে। আমাদের দেশের ‘সো কলড’ আইন ওই অভিনেত্রীরই পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ও শান্তি পাচ্ছে। কিন্তু আমিই ভুক্তভোগী হচ্ছি। আমি মানহানীর মামলা করব। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আমি আইনের সাহায্য নেব। সেই মামলা ছোট হবে না। আমি এই মহিলাকে সহজে ছাড়ব না। আমি চাইলেই সমস্ত প্রমাণ দেখাতে পারি। কিন্তু আমি সেটা করব না। না হলে ওই মহিলার পরিবার সমস্যায় পড়ে যাবে। এই ঘটনার জন্য আমি কেবল জবাবদিহি করতে চাই আমার স্ত্রী, মা, বোন ও বন্ধুদের কাছে। আমি অভিযোগকারিণীকে চিনি। ২০১৮ সালে আমাদের দেখা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত কোনও চ্যাট করিনি। তিনি একটি অডিশন দিতে এসেছিলেন। কাজ পেয়েছিলেন। কাস্টিং কাউচের যে কথা বলা আছে… আমি সমস্যায় আছি। আমারই বিপদ হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই মহিলার সমস্ত মেসেজ আমার কাছে রয়েছে। ৪০০টি স্ক্রিন শট আছে আমার কাছে। যা-যা অভিযোগ তাঁর আছে, ধর্ষণ ও সহবাসের… সবের রেকর্ড আমি নিজের কাছে রেখে দিয়েছি।”
কী বলেছেন অভিযোগকারিনী? জানলে শিউরে উঠবেন…
উওম্যান এগেন্সট সেক্সচুয়াল হ্যারাসমেন্ট নামের একটি ফেসবুক পেজে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারিনী। তিনি লিখেছেন, “আমি মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী। বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করছি এই ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনেতা ও প্রযোজক বিজয়বাবু, যাঁর ফ্রাইডে ফিল্ম হাউজ় করেছে, আমাকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন ২০২২ সালের ১৩ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। আমি তাঁকে অনেক বছর ধরে চিনি। একটি ছবিতেও আমরা কাজ করেছি। তিনি আমার বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। আমার বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। বলেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন হিসেবে আমার গাইডেন্স দরকার। আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সমস্যায় তিনি আমার পাশে ছিলেন। আমার সমস্যার সমাধানও করেছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি আমাকে নির্যাতন করেছেন। ওর কাজ আমাকে ধীরে-ধীরে ওর দিকে আকৃষ্ট করেছিল। আমি ফেঁসে যাচ্ছিলাম। তারপর তিনি আমাকে নেশা করিয়ে লাগাতার নির্যাতন করেন। সজ্ঞানে আমি কখনওই বিজয়বাবুর সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু তিনি সে সব মানতেন না। আমার বারণকে অসম্মান করেছিলেন। গত দেড় মাসে বহুবার তিনি আমাকে ধর্ষণ করেছেন। তিনি আমাকে জোর করে মদ্যপান করাতেন। হ্যাপি পিল নিতে বাধ্য করতেন। তারপর হ্যাঁ-না কোনও কিছুই বলার মতো অবস্থায় আমি যখন থাকতাম না, তিনি আমার শরীরটাকে উপভোগ করতেন। নিজের শরীরের শক্তি দিয়ে তিনি আমাকে উপভোগ করতেন। একটি গাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তিনি আমাকে ওরাল সেক্স করতেও বাধ্য করতেন। আমি আতঙ্কে থাকতাম। প্রতিরোধ করা কিংবা কথা বলার মতো অবস্থায়ও থাকতাম না। প্রতিবারই আমি ভয়ে পালিয়ে যেতাম। তিনি আমাকে বিয়ে করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতেন। যখনই আমাদের দেখা হত তিনি আমাকে ছবিতে নতুন-নতুন চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু সেটা আমার উদ্দেশ্য কোনওদিনই ছিল না। বিজয়বাবুর অনেক ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার কারণেই তিনি এ সব করার সাহস পেয়েছেন। আমাকে তিনি ফাঁসিয়েছেন। আমরা কেরিয়ার ও ছবি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। একদিন সেক্স করতে চাইনি বলে তিনি আমাকে পেটে লাথি মেরেছিলেন। সেই সময় আমার পিরিয়ডস চলছিল। আমার মুখে থুতু দিয়েছিলেন। আমি সাংঘাতিক আতঙ্কে ছিলাম। আমি এখন বুঝি সবটাই ধর্ষণ। আমার পিরিয়ডসের সময়ও তিনি আমাকে ধর্ষণ করেছিলেন। তিনি আমার শারীরিক কষ্টের কথাও কোনওদিনও চিন্তা করেননি। লোকটা আমার কাছে রাক্ষস।”
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই বিজয়বাবু ফেসবুকে লাইভ করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Saoli Chattopadhyay: আমার কিছু-কিছু অন্তরঙ্গ সিন কেটে ইউটিউবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে: শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: Arijit Singh Controversy: রূপরেখা নন, তবে কে ছিলেন অরিজিৎ সিংয়ের প্রথম স্ত্রী? কেনই বা ভেঙেছিল বিয়ে?
