সদ্য বিয়ে করেছেন রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বুধবার রাতেই মুম্বই ফিরলেন দম্পতি। হাতে হাত রেখে বিমানবন্দরে ছবি তোলার জন্য পোজও দেন তাঁরা। সাদা শার্ট, প্যান্টের ক্যাজুয়াল লুকে ছিলেন রাজকুমার। পত্রলেখার পরনে ছিল লাল শাড়ি। বিয়ের ঠিক পরেই বদলে গেল পত্রলেখার পরিচয়।
গতকাল রাতে বিমানবন্দরে পত্রলেখাকে অনেকেই ‘ভাবিজি’ বলে সম্বোধন করেন। তা শুনে হেসে ফেলেছেন তারকা দম্পতি। পত্রলেখা পেশায় মডেল তথা অভিনেত্রী। এতদিন পর্যন্ত তাঁকে নাম ধরে ডাকতেন সকলে। বিয়ের পরই হঠাৎ সম্বোধন বদলে যাওয়ায় কিছুটা অবাকও হয়েছেন তিনি।
বিয়েতে হাতে শাঁখা পলা পরেছিলেন পত্রলেখা। বিয়ের সাজ বাঙালি কনের মতো না হলেও মাথার ওড়নায় বড় বড় করে লিখেছিলেন স্বামীর জন্য ভালবাসার বার্তা। ওড়নায় লেখা ছিল, ‘আমার পরাণ ভরা ভালবাসা, আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’। পত্রলেখা বাঙালি। বেড়ে ওঠা শিলংয়ে। পুরো নাম পত্রলেখা পাল। আর এই বাঙালি মেয়ের সঙ্গেই ১১ বছর প্রেম পর্ব চালিয়েছেন রাজকুমার। বিয়ের মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে রাজকুমার তাঁর ‘এভরিথিং’য়ের জন্য লিখেছিলেন, “অবশেষে ১১ বছরের ভালবাসা, মজা, রোম্যান্সের পর আমার আত্মার সঙ্গী, আমার প্রিয় বন্ধু, আমার পরিবারের সঙ্গে বিয়ে হল আমার। এর থেকে খুশির দিন মনে হয় জীবনে আর কিছু হয় না। আজ থেকে আমি তোমার স্বামী পত্রলেখা, সারা জীবনের জন্য…তার পরেও।”
ওই একই ছবি শেয়ার করেছিলেন পত্রলেখাও। মন্তব্য বাক্স ভেসেছে শুভেচ্ছার জোয়ারে। তবে এ সবের মধ্যেই টক অব দ্য টাউন পত্রলেখার মাথার ওড়না। নেটিজেনরা মজা করে লিখেছেন, “আজ থেকে রাজকুমার অফিসিয়ালি বাংলার জামাইবাবু”।
রাজকুমারকে অনস্ক্রিনেই প্রথম দেখেন পত্রলেখা। ‘এলএসডি’ ছবিতে। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার। পত্রলেখা ভেবেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনেও হয়তো সেরকমই একজন মানুষ রাজকুমার। কিন্তু তেমনটা যে একেবারেই নয়, পরে বুঝতে পেরেছিলেন পত্রলেখা। আর রাজকুমার তাঁকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন? পত্রলেখা জানান, এক বিজ্ঞাপনে তাঁকে প্রথম দেখেন রাজকুমার। রাজকুমার নাকি প্রথমবার দেখেই পত্রলেখাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন পত্রলেখা। সেই প্রেম পর্বই গড়াল বিয়েতে, নতুন জামাইবাবু পেল আপামর বাঙালি।
আরও পড়ুন, Sreelekha Mitra: দীর্ঘ কয়েক বছরের খারাপ অভ্যেস, এ বার ছাড়তে চান শ্রীলেখা