একটা ছুটির দিন। দিনভর আড্ডা, গান। সঙ্গী আপনার প্রিয় শহর কলকাতা। কখনও পার্কস্ট্রিটের পুরনো গন্ধ, কখনও বা ভিক্টোরিয়ার পরী…। এই সফরে যদি বন্ধুরা সঙ্গে থাকে, তা হলে তো দিনটা ভাললাগায় ভরে থাকবে। ঠিক এমনই এক আড্ডার দিনের ভাবনা নিয়ে এলেন সঙ্গীতশিল্পী পিয়া চক্রবর্তী। সৌজন্যে তাঁর নতুন গান ‘জলছবি’।
পিয়ার এই গানের অন্যতম বিশেষত্ব হল কাজ করেছেন শুধুমাত্র মহিলারা। মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এবং সুর দেওয়া এই গান একেবারে নতুন নয়। তবে নতুন করে কভার তৈরি করেছেন পিয়া।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে পিয়া বললেন, “এই গানটা আগে তেমন ভাবে কেউ শোনেননি। মধুমিতাও ফিচার করেছে আমার সঙ্গে। আর মনিদীপা অ্যারেঞ্জ করেছে, উকুলেলে বাজিয়েছে। শুধুমাত্র মেয়েরা কাজ করবে, সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা সচেতন ভাবেই নিয়েছিলাম। ওই ভাবেই কনসেপ্ট ভেবেছিলাম। গার্লস ডে আউট। আমরা পার্কস্ট্রিট গেলাম, ময়দান গেলাম, তারপর আরও একটি মেয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দিল। আড্ডা, গান…।”
পিয়ার তথাকথিত গান শেখা বেশ বড় বয়সেই। তিনি বললেন, “আমার মাস্টার্স দিল্লিতে ছিল। তারপর কলকাতায় ফিরে পাঁচ বছরের ডিপ্লোমা করেছি দক্ষিণী থেকে। দক্ষিণী থেকে অনুষ্ঠানও করেছি। ধীরে ধীরে সবাই বলছেন, ভাল লাগছে। উৎসাহ পাচ্ছি। তাই এখন হয়তো কেরিয়ার হিসেবে নয়, তবে গানটা আর একটু সিরিয়াসলি করার কথা ভাবছি।”
পিয়া ব্যক্তিগত সম্পর্কে সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়ের স্ত্রী। অনুপম গানের মানুষ। পিয়া এখন গান নিয়ে আরও নতুন প্রজেক্টের কথা ভাবছেন। অনুপম সঙ্গে থাকায় কোথাও বেশি সুবিধে পাচ্ছেন, এ হেন মন্তব্য কি কখনও শুনতে হয়েছে? পিয়া হেসে বললেন, “আমি খুব বেশি শুনিনি এ সব কথা শুনিনি। কারণ অনুপমের কাজের ক্ষেত্র, মূলত ফিল্ম মিউজিক সেখানে কোনওদিন গাইনি। ওর ফিল্মের প্লেব্যাকে অন্যরা গেয়েছেন। আমাকে প্রায়োরাটাইজ করা হয়েছে, এমন বক্তব্যের কোনও মানে নেই সে খানে। আমার উদ্যোগে যে সব কাজ যেখানে আমি গাইছি, সেখানে ও হেল্প করেছে। ও পাশে থাকায় অনেক সহজেই গান রেকর্ড করতে পারি। ফলে যদি কেউ কিছু বলেনও, আমি পার্সোনালি নিইনি জিনিসটা। কারণ সেটা আমার কন্ট্রোলে নয়।”
গানের কাজে অনুপম কী ভাবে সাহায্য করেন? পিয়া শেয়ার করলেন, “অনুপম আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। কখনও গানের সিলেকশন নিয়ে আলোচনা করলাম। কখনও বা দু-তিনটে গান ভেবেছি করব বলে, ওকে শোনালাম, কোনটা আমার গলায় ভাল শোনাবে, সেটা জানতে চাইলাম। কারণ মিউজিক্যাল সেনসেবিলিটির জায়গা থেকে ওকে ভরসা করি। অ্যারেঞ্জমেন্টের ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছে।”
পিয়া জানালেন, নিজের উদ্যোগে একটি এনজিও চালাচ্ছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে অন্য ধরনের কাজেরও পরিকল্পনা রয়েছে। গানের বিভিন্ন অফার আসছে কি? পিয়া বললেন, “মিউজিশিয়ান রাজকুমার সেনগুপ্ত গতকালই একটা গান রেকর্ড করালেন। আর আগে একটা দুটো এসেছিল। শহরে ছিলাম না বলে করে করতে পারিনি। ইচ্ছে সত্ত্বেও হয়ে ওঠেনি।”
আরও পড়ুন, ছেলে এবং মা, দুই শিশুর এমনই সম্পর্ক, অনুমান করতে পারছেন এরা কারা?
একটা ছুটির দিন। দিনভর আড্ডা, গান। সঙ্গী আপনার প্রিয় শহর কলকাতা। কখনও পার্কস্ট্রিটের পুরনো গন্ধ, কখনও বা ভিক্টোরিয়ার পরী…। এই সফরে যদি বন্ধুরা সঙ্গে থাকে, তা হলে তো দিনটা ভাললাগায় ভরে থাকবে। ঠিক এমনই এক আড্ডার দিনের ভাবনা নিয়ে এলেন সঙ্গীতশিল্পী পিয়া চক্রবর্তী। সৌজন্যে তাঁর নতুন গান ‘জলছবি’।
পিয়ার এই গানের অন্যতম বিশেষত্ব হল কাজ করেছেন শুধুমাত্র মহিলারা। মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এবং সুর দেওয়া এই গান একেবারে নতুন নয়। তবে নতুন করে কভার তৈরি করেছেন পিয়া।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে পিয়া বললেন, “এই গানটা আগে তেমন ভাবে কেউ শোনেননি। মধুমিতাও ফিচার করেছে আমার সঙ্গে। আর মনিদীপা অ্যারেঞ্জ করেছে, উকুলেলে বাজিয়েছে। শুধুমাত্র মেয়েরা কাজ করবে, সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা সচেতন ভাবেই নিয়েছিলাম। ওই ভাবেই কনসেপ্ট ভেবেছিলাম। গার্লস ডে আউট। আমরা পার্কস্ট্রিট গেলাম, ময়দান গেলাম, তারপর আরও একটি মেয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দিল। আড্ডা, গান…।”
পিয়ার তথাকথিত গান শেখা বেশ বড় বয়সেই। তিনি বললেন, “আমার মাস্টার্স দিল্লিতে ছিল। তারপর কলকাতায় ফিরে পাঁচ বছরের ডিপ্লোমা করেছি দক্ষিণী থেকে। দক্ষিণী থেকে অনুষ্ঠানও করেছি। ধীরে ধীরে সবাই বলছেন, ভাল লাগছে। উৎসাহ পাচ্ছি। তাই এখন হয়তো কেরিয়ার হিসেবে নয়, তবে গানটা আর একটু সিরিয়াসলি করার কথা ভাবছি।”
পিয়া ব্যক্তিগত সম্পর্কে সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়ের স্ত্রী। অনুপম গানের মানুষ। পিয়া এখন গান নিয়ে আরও নতুন প্রজেক্টের কথা ভাবছেন। অনুপম সঙ্গে থাকায় কোথাও বেশি সুবিধে পাচ্ছেন, এ হেন মন্তব্য কি কখনও শুনতে হয়েছে? পিয়া হেসে বললেন, “আমি খুব বেশি শুনিনি এ সব কথা শুনিনি। কারণ অনুপমের কাজের ক্ষেত্র, মূলত ফিল্ম মিউজিক সেখানে কোনওদিন গাইনি। ওর ফিল্মের প্লেব্যাকে অন্যরা গেয়েছেন। আমাকে প্রায়োরাটাইজ করা হয়েছে, এমন বক্তব্যের কোনও মানে নেই সে খানে। আমার উদ্যোগে যে সব কাজ যেখানে আমি গাইছি, সেখানে ও হেল্প করেছে। ও পাশে থাকায় অনেক সহজেই গান রেকর্ড করতে পারি। ফলে যদি কেউ কিছু বলেনও, আমি পার্সোনালি নিইনি জিনিসটা। কারণ সেটা আমার কন্ট্রোলে নয়।”
গানের কাজে অনুপম কী ভাবে সাহায্য করেন? পিয়া শেয়ার করলেন, “অনুপম আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। কখনও গানের সিলেকশন নিয়ে আলোচনা করলাম। কখনও বা দু-তিনটে গান ভেবেছি করব বলে, ওকে শোনালাম, কোনটা আমার গলায় ভাল শোনাবে, সেটা জানতে চাইলাম। কারণ মিউজিক্যাল সেনসেবিলিটির জায়গা থেকে ওকে ভরসা করি। অ্যারেঞ্জমেন্টের ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছে।”
পিয়া জানালেন, নিজের উদ্যোগে একটি এনজিও চালাচ্ছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে অন্য ধরনের কাজেরও পরিকল্পনা রয়েছে। গানের বিভিন্ন অফার আসছে কি? পিয়া বললেন, “মিউজিশিয়ান রাজকুমার সেনগুপ্ত গতকালই একটা গান রেকর্ড করালেন। আর আগে একটা দুটো এসেছিল। শহরে ছিলাম না বলে করে করতে পারিনি। ইচ্ছে সত্ত্বেও হয়ে ওঠেনি।”
আরও পড়ুন, ছেলে এবং মা, দুই শিশুর এমনই সম্পর্ক, অনুমান করতে পারছেন এরা কারা?