বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন আপনি। কোনও কারণ সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি। তাতে কোনও সমস্যা নেই। নবদম্পতি আপনার বাড়িতেই উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দিয়েছে মিষ্টি। বিয়েতে তো মিষ্টিমুখ করাতেই হবে। ঠিক এমনই ঘটল রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা পালের বিয়েতে।
সদ্য বিয়ে করেছেন বলিউডের এই অভিনেতা দম্পতি। তাঁদের বিয়েতে যে সব অতিথিরা উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাঁদের বাড়িতে মনে করে মিষ্টি পাঠিয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে প্রত্যেকের জন্য আলাদা চিঠি। ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তা রাজকুমার-পত্রলেখার তরফে এমন উপহার পেয়ে আপ্লুত।
১১ বছর একে অপরকে চেনেন। ১১ বছরের বন্ধুত্ব, প্রেম, ঝগড়া, আদর, অভিমানের পর বিয়ে করলেন রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা। কিন্তু এত বছর একে অপরকে চেনার পরে তাঁদের উপলব্ধি শুধু ১১ বছর নয়। তাঁরা যেন একে অপরকে জন্ম জন্মান্তর ধরে চেনেন। বিয়েতে পুরুষ সিঁদুর পরিয়ে দেন স্ত্রীকে। রাজকুমার-পত্রলেখার বিয়েতেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু রাজকুমার নিজে পত্রলেখার কাছে সিঁদুর পরতে চেয়েছেন। আর এখানেই যেন কোথাও আলাদা হয়ে গেল তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান। যে সৌজন্য রাজকুমার দেখিয়েছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করছেন তাঁর অনুরাগীরা।
বিয়েতে হাতে শাঁখা পলা পরেছিলেন পত্রলেখা। বিয়ের সাজ বাঙালি কনের মতো না হলেও মাথার ওড়নায় বড় বড় করে লিখেছিলেন স্বামীর জন্য ভালবাসার বার্তা। ওড়নায় লেখা ছিল, ‘আমার পরাণ ভরা ভালবাসা, আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’। পত্রলেখা বাঙালি। বেড়ে ওঠা শিলংয়ে। পুরো নাম পত্রলেখা পাল। আর এই বাঙালি মেয়ের সঙ্গেই ১১ বছর প্রেম পর্ব চালিয়েছেন রাজকুমার। বিয়ের মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে রাজকুমার তাঁর ‘এভরিথিং’য়ের জন্য লিখেছিলেন, “অবশেষে ১১ বছরের ভালবাসা, মজা, রোম্যান্সের পর আমার আত্মার সঙ্গী, আমার প্রিয় বন্ধু, আমার পরিবারের সঙ্গে বিয়ে হল আমার। এর থেকে খুশির দিন মনে হয় জীবনে আর কিছু হয় না। আজ থেকে আমি তোমার স্বামী পত্রলেখা, সারা জীবনের জন্য…তার পরেও।” ওই একই ছবি শেয়ার করেছিলেন পত্রলেখাও। মন্তব্য বাক্স ভেসেছে শুভেচ্ছার জোয়ারে। তবে এ সবের মধ্যেই টক অব দ্য টাউন পত্রলেখার মাথার ওড়না। নেটিজেনরা মজা করে লিখেছেন, “আজ থেকে রাজকুমার অফিসিয়ালি বাংলার জামাইবাবু”।
রাজকুমারকে অনস্ক্রিনেই প্রথম দেখেন পত্রলেখা। ‘এলএসডি’ ছবিতে। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার। পত্রলেখা ভেবেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনেও হয়তো সেরকমই একজন মানুষ রাজকুমার। কিন্তু তেমনটা যে একেবারেই নয়, পরে বুঝতে পেরেছিলেন পত্রলেখা। আর রাজকুমার তাঁকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন? পত্রলেখা জানান, এক বিজ্ঞাপনে তাঁকে প্রথম দেখেন রাজকুমার। রাজকুমার নাকি প্রথমবার দেখেই পত্রলেখাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন পত্রলেখা। সেই প্রেম পর্বই গড়াল বিয়েতে, নতুন জামাইবাবু পেল আপামর বাঙালি।
আরও পড়ুন, Salman Khan: সলমনের বডিগার্ড শেরার মুখে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’এর সংলাপ, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়