Lizelle D’Souza: ‘দরজা খুলে বাবা দেখল ভাই আর নেই…’, কান্নায় ভেঙে পড়লেন রেমোর স্ত্রী
লিজেলের বয়ান অনুযায়ী, "বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বহু বছর ধরে। হাসপাতালে গিয়েছিলেন ডায়ালিসিস নিতে। বাড়ি ফিরে ভাইয়ের দরজা খুলে দেখে ভাই আর নেই। ও নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।"
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে রেমো ডি’সুজার শ্যালক জ্যাসন ওয়াকিনসের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে আত্মহত্যা করেছেন জ্যাসন। কিন্তু কেন? উত্তর নেই পরিবারের কাছে। রেমোর স্ত্রী লিজেল এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইণ্ডিয়া’র কাছে। মানসিক ভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন। কী করে ভাই এটা করতে পারল, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না লিজেল। কী হয়েছিল ঘটনার দিন?
লিজেলের বয়ান অনুযায়ী, “বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বহু বছর ধরে। হাসপাতালে গিয়েছিলেন ডায়ালিসিস নিতে। বাড়ি ফিরে ভাইয়ের দরজা খুলে দেখে ভাই আর নেই। ও নিজেকে শেষ করে দিয়েছে। আমি জানি না ও কেন এমনটা করল। ভাই আর বাবা একসঙ্গে থাকত। আমি এই মুহূর্তে বাবার কাছে যাচ্ছি”।
মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন কি রেমোর শ্যালক। দিদি জানিয়েছেন, তাঁদের মা ২০১৮তে মারা যাওয়ার পরেই মানসিক ভাবে বড্ড ভেঙে পড়েছিলেন জ্যাসন। তাঁর কথায়, “মায়ের ভীষণ কাছের ছিল ভাই”। সে কারণেই এমন কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে হচ্ছে পুলিশি-তদন্ত। প্রসঙ্গত, জ্যাসন ওয়াকিনস মুম্বইয়ের মিলাট নগর এলাকায় থাকতেন।
এ দিন ওষিয়াড়া থানার পুলিশ জ্যাসন বাড়ি থেকেই তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ উদ্ধার করে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তাঁকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশও শুরু করেছে তদন্ত। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলে জ্যাসন। রেমোর সঙ্গে বিভিন্ন ছবিতে সহ পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তিনি কি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নাকি নেপথ্যে ছিল অন্য কারণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।