তাঁরা এক সময় নাকি ছিলেন ড্রিম কাপল। দিন কয়েক আগেই বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন। তাঁরা অর্থাৎ নাগা চৈতন্য এবং সামান্থা প্রভু। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের জীবনের এই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তারপরও তাঁদের নিয়ে আলোচনা থামছে না। এক সময় নাগার নামে নিজের শরীরে ট্যাটু করিয়েছিলেন সামান্থা। এ বার অনুরাগীদের একাংশের আলোচনায় উঠে এসেছে সে প্রসঙ্গ।
জানা যায়, সামান্থার শরীরে নাকি তিনটি ট্যাটু রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে রয়েছে নাগার নাম। নাগাকে ভালবেসে চে বলে ডাকতেন তিনি। প্রিয় বন্ধু তথা স্বামীর নাম নিজের শরীরে ট্যাটু হিসেবেও করিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি তিনি এবং নাগা যে একসঙ্গে ট্যাটু করিয়েছিলেন, তাও আগেই সোশ্যাল ওয়ালে স্বীকার করে নিয়েছিলেন সামান্থা। বিচ্ছেদের পর এখন নাগার নামের ট্যাটু তিনি নিজের শরীরে আর রাখবেন কি না, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে দর্শক মহলে।
শোনা যাচ্ছে বিচ্ছেদের পর ভরণপোষনের জন্য সামান্থাকে ২০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন নাগা এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু সামান্থা নাকি কোনও টাকা নিতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র দাবি করেন, এই বিয়ে ভাঙা সামান্থার কাছে হৃদয় বিদারক। অভিনেত্রী অত্যন্ত বিচলিত। এই সম্পর্ক তেকে শুধুমাত্র ভালবাসা এবং সাহচর্য চেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর কিছুর প্রয়োজন ছিল না তাঁর।
২০১০-এ একসঙ্গে ‘ইয়ে মায়া চেসভ’-এ কাজ করতে গিয়ে নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন সামান্থা এবং নাগা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়। ওই বছরই অক্টোবরে গোয়াতে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের বিচ্ছেদে মন ভেঙে গিয়েছে বহু অনুরাগীর।
গত শনিবার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সামান্থা। তিনি লেখেন, ‘আমাদের সকল শুভান্যুধায়ীরা, অনেক চিন্তাভাবনার পর চে এবং আমি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের পথে এগিয়ে যাব ভেবেছি। আমরা ভাগ্যবান এক দশকের বেশি সময় আমাদের বন্ধুত্ব ছিল, সেটা আমাদের সম্পর্কের অত্যন্ত ব্যক্তিগত জায়গা। আমরা বিশ্বাস করি সেই স্পেশ্যাল বন্ডিং আমাদের মধ্যে থেকে যাবে। এই কঠিন সময়ে আমাদের অনুরাগী, শুভান্যুধায়ী এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে আমাদের প্রাইভেসিকে সম্মান জানানোর অনুরেধ করব। আমরা সত্যিই এগিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’ এই একই পোস্ট করেছেন নাগাও।
সদ্য সামান্থা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘যখন হতাশা আমাকে ঘিরে ধরে তখন সব মসয় মনে রাখি সত্য এবং ভালবাসার পথ সব সময় জয়ী হবে। অদৃশ্য হয়ে অনেক অত্যাচারী বা খুনী হয়তো থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকলেই পরাজিত হবে। এটা সব সময় ভাববে।’ হ্যাশট্যাগে তিনি ব্যবহার করেছে ‘মাই মম্মা সেড’-এর মতো তিনটি শব্দ। এই পোস্ট শেয়ার করার পরই অনুরাগীদের একাংশের মনে হচ্ছে, তা হলে কি নিজেই হতাশায় ভুগছেন অভিনেত্রী?
নাগা চৈতন্য অভিনেতা নাগার্জুন আকিনেনির পুত্র। বৈবাহিক সূত্রে এক সময় আকিনেনি পদবী ব্যবহার করতেন সামান্থা। কিন্তু কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে সেই পদবী বাদ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনা আরও দৃঢ় হয় বিভিন্ন মহলে। সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন অভিনেত্রী স্বয়ং।
আরও পড়ুন, Mahalaya 2021: ‘মা আসছেন, আনন্দে থাকুন’, মহালয়ায় বললেন কাঞ্চন মল্লিক
আরও পড়ুন, Debina and Gurmeet: দেবিনা-গুরমিতের বিয়ে মিলে গেল ‘শুভ বিজয়া’য়, কী ভাবে?