Aryan Khan Drug Case: মাদককাণ্ডে রিয়ার আইনজীবী সেই সতীশই এখন আরিয়ানেরও কৌঁসুলি
রবিবারই মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ উঠেছে। কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামক এক প্রমোদতরণীতে তিনদিন এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল।
মাদককাণ্ডে গেফতার হয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। গত বছর মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার হতে হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকেও। আর এই দুই মামলাতেই রিয়া ও আরিয়ানের হয়ে যে ব্যক্তি আইনি লড়াই লড়েছিলেন তিনি সতীশ মানশিন্ডে, বলিউডের ‘ভরসাযোগ্য’ আইনজীবী।
১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। সে সময়ও আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকেই। এ ছাড়াও বলিউডের বহু হাই প্রোফাইল কেস বহুদিন ধরে সামলাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আরিয়ানের ক্ষেত্রেও তাই পরিবারের ভরসাস্থল এই দুঁদে আইনজীবীই।
রবিবারই মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ উঠেছে। কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামক এক প্রমোদতরণীতে তিনদিন এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্যরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। ক্রে’আর্ক নামক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া।
শনিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই প্রমোদতরণীতে তল্লাশি অভিযান চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সেখানেই উপস্থিত ছিলেন আরিয়ান খান। প্রথমে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে এনসিবি। পরে বিকেলে বয়ান রেকর্ডের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সতীশ মানশিন্ডের অবশ্য তাঁর মক্কেল সম্পর্কে দাবি, ওই প্রমোদতরীর কোনও টিকিট আরিয়ানের কাছে ছিল না। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পরেই সতীশ মানশিন্ডে তাঁকে এনসিবির হেফাজতে একদিন রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যদি সতীশ তা না করে শুধুমাত্র জামিনের আবেদন করতেন তবে, তা কোনও কারণে খারিজ হয়ে গেলে আরিয়ানের জেল হেফাজত হতে পারত রবিবার রাতেই। আপাতত ৪ অক্টোবর অবধি এনসিবির হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরিয়ানকে।