সোহম মুখোপাধ্যায়। স্টার কিড। কিন্তু তিনি তেমন প্রকাশ্যে আসেন না। সোহম গায়ক শানের বড় ছেলে। সদ্য পড়াশোনার জন্য আমেরিকা পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। আর তাতেই ইমোশনাল শান। তাঁরই গান ‘তানহা দিল’ যেন বাস্তব হল তাঁরই জীবনে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় সোহম উচ্চ শিক্ষার জন্য যাচ্ছেন। সে খবর শান টুইট করে জানান অনুরাগীদের। ২১ বছরের সোহমের এই পদক্ষেপ শানের জীবনের যেন একটা বৃত্ত পূর্ণ হল। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের শান বলেন, “সোহম অনেক কম বয়সে তাড়াতাড়ি আমেরিকায় সেটল করছে। আমি স্বস্তি পাচ্ছি। ভাল বন্ধু তৈরি হয়েছে ওর। পড়াশোনা করুক। প্রথমে তো দিনে দু’বার করে ফোন করত। এখন একবার করে ফোন করে। সেটা এখনই হয়তো সপ্তাহে একবার হয়ে যাবে না, এটা আশা করছি।”
শান আরও জানান, গত এক বছর ধরে অনলাইন পড়াশোনা করেছেন শানের ছেলে। ছেলের এই সাফল্যে খুশি তিনি। শানের কথায়, “সোহমকে নিয়ে আমি চিন্তা করছি না। আসলে কোভিড নিয়েই এখন আমাদের থাকতে হবে। এর জন্য তো জীবন থেমে থাকবে না।”
করোনা আতঙ্কে অন্য সকলের মতোই গৃহবন্দি ছিলেন শান। লকডাউনে কাজও বন্ধ ছিল। টিককরণের ক্ষেত্রে অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভারতকে এগিয়ে রেখেছেন গায়ক। এ বিষয়ে শান বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সত্যিই ভয়ঙ্কর। এই কঠিন সময়ে সামনে থেকে কাজ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সরকার যেভাবে কাজ করছে, যেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সত্যিই প্রশংসীয়। অনেক দেশ আছে, যাদের আলাদা করে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। সে দিক থেকে আমাদের দেশের অবস্থা অনেক ভাল।”
শান মনে করেন, যত তাড়াতাড়ি সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে, তত তাড়াতাড়ি সুস্থ ভাবে কাজে ফিরতে পারবেন সকলে। অন্তত আক্রান্ত হলেও টিকা নেওয়ার ফলে লড়াই করার শক্তি পাবেন মানুষ। তাই স্বাভাবিক কাজে ফেরার জন্য সব স্তরে সকলের টিকা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি। লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটিয়েছেন শান। দুই ছেলের গর্বিত বাবা জানিয়েছেন, ছেলেরা পড়াশোনা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাদের আলাদা করে কোনওদিন বলতে হয়নি। আর গান নিয়েও আগ্রহ রয়েছে ছেলেদের। তবে নিজের ধ্যান ধারণা কখনও পরবর্তী প্রজন্মের উপর চাপিয়ে দেন না তিনি। বরং ছেলেরা যা কিছু নতুন শিখছে, তাতে উৎসাহ দেন সব সময়।
আরও পড়ুন, শনিবারের অলস সকালে আপনাদের জন্য উপহার দিলেন মিথিলা