Rafiath Rashid Mithila: শনিবারের অলস সকালে আপনাদের জন্য উপহার দিলেন মিথিলা
Rafiath Rashid Mithila: মিথিলা সদ্য ভারতে তাঁর প্রথম ছবির কাজ শেষ করলেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ ছবিতে দেখা যাবে মিথিলার অভিনয়।
শনিবারের সকাল। অলস সকাল। তেমন কোনও কাজ ছিল না তাঁর। গিটার নিয়ে গান গাইতে বসলেন। পছন্দের গান শোনালেন আপনাদের। তিনি অর্থাৎ রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
মিথিলার অনেকগুলো পরিচয়। শিশুদের নিয়ে কাজ করেন। পড়াশোনা তাঁর নিত্য সঙ্গী। অভিনেত্রী হিসেবে তাঁকে সকলেই চেনেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং আয়রার মা।
এই এত সব পরিচয়ের মাঝে গান তাঁর নিজের প্রাণের আরাম। গান গাইতে বরাবরই ভালবাসেন মিথিলা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঘরোয়া আড্ডা বা রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ছাড়া প্রফেশনালি গাইতে তাঁকে দেখা যায়নি। তবে তাঁর গানে মুগ্ধ শ্রোতারা। আরও বেশি করে মিথিলা গান উপহার দিন, এমনটাই আবেদন অনুরাগীদের।
মিথিলা সদ্য ভারতে তাঁর প্রথম ছবির কাজ শেষ করলেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ ছবিতে দেখা যাবে মিথিলার অভিনয়। মিথিলার সঙ্গে প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে TV9 বাংলাকে রাজর্ষি বলেছিলেন, “শি ইজ প্লেয়িং মায়া ইন মায়া। অসাধারণ ও। ওর ডেডিকেশন শেখার মতো। পুরো স্ক্রিপ্টটা মুখস্থ। আমি এমন দেখিনি। আমরা খুব বন্ধু হয়ে গিয়েছি।”
রাজর্ষির এই ছবির বিষয় শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ। সদ্য এই ছবির লোগো প্রকাশিত হল। বাংলাদেশে মিথিলার অভিনয় দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ পার বাংলায় এই প্রথম। ফলে মিথিলার জন্যও এই প্রজেক্ট নিঃসন্দেহে খুব স্পেশ্যাল।
দিন কয়েক আগে একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাহসান-মিথিলাকে। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আয়রার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তাঁরা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আয়রাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।
বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই। বাবা, মেয়ের আনন্দের মুহূর্তে মাও ভাগীদার হবেন, হোক তা ভার্চুয়াল, এটাই তো স্বাভাবিক। আয়রা মূলত মিথিলার কাছেই থাকে। বাংলাদেশে মিথিলা গেলে আয়রা সঙ্গী হয়। আবার মিথিলা কলকাতায় থাকলে মেয়ে তার সঙ্গেই থাকে। আপাতত আয়রা কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্রী। পড়াশোনার স্বার্থে ভবিষ্যতে সে কোথায় থাকবে, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন, ‘দেরি হলেও খুব দেরি হয়নি’, পুরসভায় যশের সঙ্গে যাওয়ার পরে সোশ্যালে বার্তা নুসরতের