Moheener Ghoraguli: দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত মহীনের ‘আদি’ ঘোড়া, সাহায্যের আবেদন রূপম-অর্কদের

Moheener Ghoraguli: লাং ক্যানসার, থার্ড স্টেজ-- গুরুতর অসুস্থ বাংলা ব্যান্ডের জনক 'মহীনের ঘোড়াগুলি'র আদি 'ঘোড়া' তাপস দাস ওরফে 'বাপিদা'। চলছে কেমোথেরাপি। স্বাভাবিক ভাবে খেতেও পারছেন না। দরকার বিপুল পরিমাণ অর্থেরও।

Moheener Ghoraguli: দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত মহীনের 'আদি' ঘোড়া, সাহায্যের আবেদন রূপম-অর্কদের
দুরারোগ্য ক্যানসারের আক্রান্ত মহীনের 'আদি' ঘোড়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2023 | 4:33 PM

লাং ক্যানসার, থার্ড স্টেজ– গুরুতর অসুস্থ বাংলা ব্যান্ডের জনক ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র আদি ‘ঘোড়া’ তাপস দাস ওরফে ‘বাপিদা’। চলছে কেমোথেরাপি। স্বাভাবিক ভাবে খেতেও পারছেন না। দরকার বিপুল পরিমাণ অর্থেরও। এমতাবস্থায় তাপস দাসের পাশে দাঁড়াল বাংলা সঙ্গীত জগতের একটা বড় অংশ। রূপম ইসলাম থেকে শুরু করে অর্ক মুখোপাধ্যায়, সাহানা বাজপেয়ী ও ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধু– সামাজিক মাধ্যমে চাইলেন অর্থসাহায্য। কোন ব্যাঙ্কে, কীভাবে পাঠাতে হবে ওই টাকা তাও জানিয়েছেন বিশদে। অর্ক মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “যাদের গান “সুদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে সবকিছুই” তাদেরই বাপিদা আজ অসুস্থ। মহিনের ঘোড়াগুলির এই তাপস দাস, বাপিদা, কে তার পরিচয় আমি করিয়ে দেব এত বড় কেউ আমি নই । লাং ক্যান্সার থার্ড স্টেজ, খেতে পারছেন না স্বাভাবিক পদ্ধতিতে । বেশ কিছু কেমো নিয়েছেন । এখন রেডিয়েশন নেবার মতন অবস্থায় নেই। খেতে পারছেন না স্বাভাবিক ভাবে । ওজন কমে পয়ত্রিশ কিলোয় নেমে এসেছে । এখুনি কথা হয়েছে ওনার স্ত্রী সুতপাদির সাথে । ওনার থেকেই শুনেছি । এই অবস্থাতেও বাপিদা কোনোমতে ফোন হাতে নিয়ে আমার সাথে , কথাও বলেছেন ।”

থামেননি অর্ক, যোগ করেছেন, “ঐ যে গানটা আপনাকে রাতে দিনে ভাবিয়েছে , তার ও মূল্য অনেক । সে কথা ভেবে এগিয়ে আসুন । অন্য কে কি করেছে না করেছে তার জন্য না ভেবে । যদি সত্যিই কোনোদিন ভেবে থাকেন “কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও” , তবে মনে রাখবেন একটু একটু করে হলেও এই মানুষটিকে বাঁচানোর দায় আমাদেরও আছে। অন্যদিকে রূপম ইসলাম দিন  কয়েক আগেই এক লম্বা পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে। তিনি জানিয়েছেন, দুটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ইতিমধ্যেই বাপিদার কাছে অর্থসাহায্য নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু গায়ক তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। রূপমের কথায়, “বাপিদা আমায় পরিষ্কার বলেছেন, আমরা সঙ্গীতশিল্পীরা তাঁর সন্তান। তাঁর যদি কোনও সন্তান থাকত সে তাঁর দেখাশোনা করত। তাই কোনও সঙ্গীতশিল্পী যদি এগিয়ে আসেন তবে তাঁর খুব উপকার হয়।”

অন্যদিকে সিধু লেখেন, “বাংলা ব্যান্ড যারা ভালোবাসো, বাংলা ব্যান্ডের গান শুনতে ভালোবাসো তাদের কাছে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ -র পরিচয় আলাদা করে কিছু বলার নেই। আমাদের যাপনের ওতপ্রোত সঙ্গী মহীনের ঘোড়াগুলি-র অন্যতম পথিকৃৎ তাপস দা বিগত কয়েকমাস যাবত দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছেন। তাঁর চিকিৎসা স্বার্থে প্রয়োজন আর্থিক সাহায্য। সবার কাছে আমাদের বিনম্র অনুরোধ, এসো এই অসময়ে তাপস দা’র পাশে সবাই দাঁড়াই সাধ্যমতো! আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ভালবাসায় তাপস দা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন, এটাই বিশ্বাস!”

শুধু যে সঙ্গীতশিল্পীরাই অর্থসাহায্যের আবেদন করেছেন এমনটা তো নয়, প্রিয় বাপিদাকে ফিরিয়ে আনতে একজোট সাধারণও। ফেসবু জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাহায্যের আকুতি। ক্যানসারকে রুখে দিয়ে যে করেই হোক ফিরিয়ে আনতেই হবে তাঁকে, মহীনের শেষ স্তম্ভকে– পণ তাঁদের। জানা গিয়েছেম অসুস্থ অবস্থাতেও নাকি হুইলচেয়ারে করে সম্প্রতি সঙ্গীতমেলায় হাজির হয়েছিলেন তাপসবাবু। সুদিনের ডাক দিয়েছিলেন ৮০’র দশকে, নতুন স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন যুবসমাজকে, সেই মানুষকে কেড়ে নেবে ক্যানসার– এ কিছুতেই হতে না দেওয়ার চেষ্টায় সকলেই।