ঊষসীর জীবনে নতুন অধ্যায়, আফসোস একটাই, ‘বাবা দেখে যেতে পারল না…’

ছোট থেকেই মেধাবী তিনি। সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর।

ঊষসীর জীবনে নতুন অধ্যায়, আফসোস একটাই, 'বাবা দেখে যেতে পারল না...'
ঊষসী চক্রবর্তী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2021 | 7:16 PM

অভিনেত্রী  ঊষসী চক্রবর্তীর জীবনে নতুন অধ্যায়। আর তিনি শুধুই অভিনেত্রী নন, তিনি ডক্টরেটও। অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবী বিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রির অধিকারী হলেন তিনি। এই সুখবর তিনি পেয়েছেন দিন কয়েক আগে বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেই।

গত বছর বাবা শ্যামল চক্রবর্তীকে হারিয়েছেন তিনি। মেয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করুক তা সবচেয়ে বেশি চেয়েছিলেন বাবা-ই। টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে কথা বলতে বলতে এ কথা বারেবারেই বলছিলেন তিনি। বলছিলেন, “আমার নিজের থেকেও বাবার উৎসাহ ছিল বেশি। আমাকে বারেবারেই জিজ্ঞাসা করত থিসিস কবে জমা দেবে। আমি একটু রেগেই যেতাম, বলতাম সময় হলে ঠিক জমা দেব। ১২ অগস্ট আমার প্রি-সাবমিশনের ডেট ছিল আর বাবা ৩১ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হলেন।”

ছোট থেকেই মেধাবী তিনি। সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবী বিদ্যায় এমফিলের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি সম্পন্ন করলেন আমজনতার ‘জুন আন্টি’। তবে মেগায় অন্যতম প্রধান চরিত্র করতে করতে পিএইডডি’র পড়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া মোটেও সহজ ছিল না। জানালেন, মেকআপ রুমে বসেও পড়াশোনা করতে হয়েছে। তাঁর কথায়, “দু’টো জিনিস একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়া যাওয়া কী সমস্যার তা হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি।” এরপর প্ল্যান কী? অধ্যাপনা নাকি অভিনয়। সাফ বললেন, “অভিনয় আমি ভালবাসি। সেটাই করতে চাই আগামী দিনেও। পিএইডডিটা করে রাখলাম অনেকেই বলেন, অভিনয় করলে পড়াশোনা হয়তো করা যায় না। সেটা হয়তো সব সময় ঠিক নয়। তবে হ্যাঁ, মানসিক চাপ ভীষণভাবে পড়ে। আমারও ওরকমই অবস্থা হয়েছিল।”

আরও পড়ুন-নিজের সাফল্যের গোপন রহস্য কী? ফাঁস করলেন পায়েল

সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। তাতে হাজারও মানুষের শুভেচ্ছা বার্তা। প্রযোজক রানা সরকার খানিক মজার ছলেই লিখেছেন, “জেল থেকে পিএইচডি হলেন জুন আন্টি…”। এই মুহূর্তে বেজায় খুশি  ঊষসী … তবে আফসোস একটাই… ‘বাবা দেখে যেতে পারল না’।