Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rajatabha Dutta: ঐন্দ্রিলার অসুস্থতা নিয়ে নিজে থেকে সব্যসাচীকে খোঁচা দিতাম না: রজতাভ দত্ত

Aindrila-Sabyasachi: 'ভাগাড়' ওয়েব সিরিজ়ের কাস্ট ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা, সব্যসাচী চৌধুরী এবং রজতাভ দত্ত। কন্যাসমা অভিনেত্রীর আরোগ্য কামনায় রজতাভর গলায় চাপা কান্না...

Rajatabha Dutta: ঐন্দ্রিলার অসুস্থতা নিয়ে নিজে থেকে সব্যসাচীকে খোঁচা দিতাম না: রজতাভ দত্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 6:13 PM

স্নেহা সেনগুপ্ত

‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই সিরিজ়ে ছিলেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচীর চৌধুরীও। যদিও তাতে নায়ক-নায়িকা হিসেবে কাজ করেননি বাস্তব জীবনের এই তুমুল জনপ্রিয় জুটি। সিরিজ়ে খলচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বাংলার আর এক প্রতিভাবান এবং সিনিয়র অভিনেতা রজতাভ দত্ত। ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন রজতাভ। ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন দু’বার ক্যান্সারজয়ী অভিনেত্রী। ১ নভেম্বর হঠাৎই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে সেখানেই আইসিইউ বেডে ভর্তি আছেন তিনি। এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। রজতাভর নিজের কন্যা ১৯ বছর বয়সি। ঐন্দ্রিলা ২৪ বছরের। প্রায় কন্যাসমা এক সহ-অভিনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সব্যসাচী সম্পর্কে কী বললেন রজতাভ দত্ত?

TV9 বাংলাকে রজতাভ বলেছেন:

“‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজ়ে আমার ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কাজ ছিল না সেই অর্থে। তবে আমি অনেকটাই স্ক্রিন শেয়ার করেছি সব্যসাচীর সঙ্গে। ঐন্দ্রিলার কথা আগে অনেক শুনেছিলাম। আমি জানি ও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। আমাদের মেকআপ রুমে দেখা হয়েছিল। কানে একটা হেডফোন থাকত ওঁর। ফুটফুটে বাচ্চা একটা মেয়ে। আমার মেয়ের বয়স ১৯। ঐন্দ্রিলার বয়স ২৪। আমার মেয়ের মতোই তো ওঁ। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা যাঁরা কাজ করি, সকলেই সকলের আত্মীয়ের মতো। সেই সূত্র ধরেই আমি সর্বতোভাবে চাইব, এ রকম সাংঘাতিক যুদ্ধে যেন মেয়েটা জয়ী হয়। ঈশ্বর যেন ওঁর সহায় থাকেন। ওঁকে যেন সুস্থ শরীরে ফিরিয়ে দেন আমাদের মাঝে।

আর বলব সব্যসাচীর কথা। ছেলেটার সঙ্গে আমি কাজ করেছি দীর্ঘদিন। আমরা স্ক্রিন শেয়ার করতাম ‘ভাগাড়’-এ। একেবারে অন্যধরনের একটা ছেলে সব্যসাচী। আর পাঁচজন অভিনেতার মতো কিন্তু নয় ওঁ। খুবই আত্মমগ্ন। নিজের কাজে খুব মন দিত। আমার বাড়ির কাছেই ওঁ এবং অভিনেতা সৌরভ দাস একটি রেস্তরাঁ খুলেছে। সেখানে গিয়েও ওঁকে আমি দেখেছি কাছ থেকে। কিন্তু সবাটা জেনেও আমি কোনওদিন ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ওকে কোনও প্রশ্ন করতাম না। বারবার মনে হয়েছিল, এমনিতেই ছেলেটাকে ঐন্দ্রিলা সম্পর্কে নানা জায়গায় নানা কথা বলতে হয়। তাই ইচ্ছা থাকলেও ওঁকে আমি ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতাম না। ওঁকে খোঁচা দিতাম না।”