Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মাধবী মুখোপাধ্যায়ের শেষ ইচ্ছে…, প্রসেনজিৎকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখেন তিনি?

প্রসেনজিতের কেরিয়ারের প্রথম ছবি মাত্র ৫ বছর বয়সে। বাবা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে সিনেমায় পাঠ করেছিলেন ছোট্ট বুম্বা, ছবির নাম ছিল ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’। তাতে প্রসেনজিতের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।

মাধবী মুখোপাধ্যায়ের শেষ ইচ্ছে..., প্রসেনজিৎকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখেন তিনি?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2025 | 2:53 PM

মা রত্না চট্টোপাধ্যায়কে অনেকদিন আগেই হারিয়েছেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মা ছিলেন তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ। তাঁর প্রাণ। তবে ইন্ডাস্ট্রির অনেকের থেকেই মায়ের ভালবাসা পেয়েছেন প্রসেনজিৎ, বিশেষ করে তাঁদের থেকে যাঁরা পর্দায় তাঁর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাই তাঁর পর্দার মায়েদের নিয়ে একবার সিনেমা হলে বসে সিনেমা দেখেছিলেন প্রসেনজিৎ। ছবিতে লিলি চক্রবর্তীকে দেখা যায় প্রসেনজিতের মায়ের চরিত্রে। তিনি তো উপস্থিত ছিলেনই। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিতের অন্যান্য পর্দার মায়েরাও। যেমন মাধবী মুখোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, অনামিতা সাহা, লাবণী সরকার। সরকারী প্রেক্ষাগৃহ নন্দনের সবচেয়ে বড় হলে স্ক্রিনিং হয় ‘অযোগ্য’র। সিনেমা দেখে বেরিয়ে প্রেক্ষাগৃহ-বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স রুমে পর্দার পাঁচ মায়ের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ।

প্রসেনজিতের কেরিয়ারের প্রথম ছবি মাত্র ৫ বছর বয়সে। বাবা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে সিনেমায় পাঠ করেছিলেন ছোট্ট বুম্বা, ছবির নাম ছিল ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’। তাতে প্রসেনজিতের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। ভিডিয়োতে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “এই মা আমার ৫ বছর বয়সের স্ক্রিন মা।” একবার বইমেলায় তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশের দিন মাধবী বলেছিলেন, “আমার একটা শেষ ইচ্ছা আছে। জীবনের শেষ ছবিটা আমি বুম্বার সঙ্গে করতে চাই। ওর প্রথম ছবিতে আমি ওর মা ছিলাম। আমার জীবনের শেষ ছবিতেও যেমন বুম্বা থাকে।” আশা রাখা যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়ের এই ইচ্ছা রাখবেন তাঁর প্রিয় প্রসেনজিৎ।

শকুন্তলা বড়ুয়া ছিলেন প্রসেনজিতের ‘অমরসঙ্গী’ ছবিতে তাঁর মা। যে ‘অমর সঙ্গী’র পর প্রসেনজিৎ হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেন। ভিডিয়োয় সেই কথাই বলেন সুপার-অভিনেতা। তারপর অমানিকা সাহা। তিনি ছিলেন প্রসেনজিতের পর্দার শাশুড়ি, মা, অনেককিছুই। ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবিতে তিনি ছিলেন বুম্বার শাশুড়িমা। শেষে লাবণী সরকার। প্রসেনজিতের চেয়ে বয়সে ৮-৯ বছরের ছোট হলেও লাবণী তাঁর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রসেনজিৎ তাঁর দিকে ইশারা করে বলেছিলেন, “আর এই যে আমার সবচেয়ে ছোট মা। ওকে আমি ক্যামেরা চললে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম। আর ক্যামেরা বন্ধ হলে ও আমাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করত।”