AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অভিনেতা না হলে প্রসেনজিৎ কোন পেশায় যেতেন জানেন?

Tollywood: টলিউডের বুকে আজও রাজত্ব করছেন। কেবল অভিনয় নয়, ছবি প্রযোজনাতেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন প্রসেনজিৎ। ইদানিং মন দিয়েছেন পরিচালনাতেও।

অভিনেতা না হলে প্রসেনজিৎ কোন পেশায় যেতেন জানেন?
| Updated on: Jan 08, 2025 | 6:35 PM
Share

৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। গোটা ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ডাকে ডাকনামেই–বুম্বা। বাড়ির ছেলে হয়ে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ। শুধু তাই নয়, তাঁকে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলা হয়। বাংলা ছবির ভালমন্দ সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয় তাঁরই সঙ্গে। সিনেমা যেন প্রসেনজিতের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু তিনি যদি অভিনয় করার সুযোগটাই না পেতেন, তা হলে নিজেকে কোন জায়গায় দেখতেন প্রসেনজিৎ। একটুও না ভেবে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন ‘বুম্বাদা’।

Curly Tales-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন সেই কথাই। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, অভিনেতা না হলে ঠিক কী হতেন তিনি? একটুও না ভেবে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “আমি ইঞ্জিনিয়ার হতাম”। ভাবুন তো একবার, কোনও এক মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে হয়তো এই মুহূর্তে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কাজ করতেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু যার সঙ্গে যেটা হওয়ার, সেটাই তো হবে! বিধাতার লিখন কণ্ডাবে কে? প্রসেনজিতের নামের পাশে ‘সুপারস্টার’ কথাটা আগে থেকে লেখা ছিল! সেই কারণেই হয়তো আজ এত বড় তারকা হয়েছেন তিনি। টলিউডের বুকে আজও রাজত্ব করছেন। কেবল অভিনয় নয়, ছবি প্রযোজনাতেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন প্রসেনজিৎ। ইদানিং মন দিয়েছেন পরিচালনাতেও।

মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে প্রসেনজিতের। তাঁর বাবা অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং মাধবী মুখোপাধ্যায় ছিলেন সেই ছবিতে। ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’-এ অভিনয় করার পর দর্শকমনে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে সেই অসম্ভব মিষ্টি ছোট্ট বুম্বা। একটু বড় হতেই কেরিয়ারে আসে ‘অমরসঙ্গী’র মতো ছবি। সেই ছবিতেই প্রথম নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেন প্রসেনজিৎ। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর- এক ব্লকবাস্টার বাংলা ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন। তিন শিফ্টে কাজ করেছেন। পুরোদস্তুর বাংলা বাণিজ্যিক ছবি থেকে আর্ট গোছের ছবিতে অভিনয় করে নিজের অভিনয় দক্ষতাকে প্রমাণ করেছেন। প্রসেনজিৎ কিন্তু লেখাপড়াতে মন্দ ছিলেন না। বোর্ডের পরীক্ষার ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। লেখাপড়া নিয়ে থাকলে অনেক দূর এগোতে পারতেন। হয়তো সত্যি ইঞ্জিনিয়ারই হতেন।