শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) বলে কথা, পর্দায় খান রাজত্বের ছন্দ পতনের আভাস মিলেছে ইতিমধ্যেই। সুপারস্টার সেলিং নয়, এবার চিত্রনাট্য নির্ভর ছবিতেই বেশি ঝুঁকছে ভক্তমহল, তাই সিগনেচার স্টাইলের কাঁধে সিনেমার যাবতীয় ব্যবসার দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার পালা ইতি। ফলে কিং খানকে নিয়ে কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ পাঠান ছবির পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। বর্তমানে নেটপাড়া বেজায় দ্বি-বিভক্ত কিং খানকে নিয়ে। একটা সুযোগ পেলেই তুলো ধনা করে ছাড়ছে। সে আরিয়ান খানকে ঘিরে অভিভাবকত্বের বিচারে হোক বা লতা মঙ্গেশকরের শবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ছবি ঘিরে হোক।
পরিস্থিতি এমনই টালমাটাল, যে কিং খানের ছবিতে কোনও রকমের ফাঁক রাখতে নারাজ পরিচালক। সম্প্রতি ছবি নিয়ে এমনটাই সাফ মন্তব্য আনন্দের। মাঝে বেশ কিছুটা বিরতি, তার আগের ইতিহাসে ফ্লপ তকমা, রাইস-ই শেষ ছবি যেখানে শাহরুখ খানের দাপট সকলের নজরে আসে। এবার বিরতি থেকে নয়া লুকে, নয়া মেজাজে ছন্দে ফেরার পালা। কিং খানের প্রত্যাবর্তণ। ছবির নাম পাঠান, ইতিমধ্যেই ভাইরাল তা ভক্তদের হাতে হাতে। চলছে পুরো দমে কাজ। আরও আগে এই ছবির কাজ শেষ করা যেত, তবে বিদেশ সফরের দিনই কিং খানের জীবনে নামে নয়া ঝড়, মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়ে আরিয়ানকে নেওয়া হয় পুলিশি হেফাজতে।
সেই ঘোর কাটিয়ে শ্যুটিং ফ্লোরে বর্তমানে পাঠান রাজত্ব। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে এবার ভক্তদের তাক লাগাতে চলেছেন পরিচালক। সিদ্ধার্থের কথায়- হিন্দি ছবির জগতে এমন অ্যাকশন এর আগে দর্শকদের উপহার দেওয়া হয়নি, এভাবেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পাঠান ছবি। খুব সুক্ষ্মভাবে এর প্রচার থেকে শুরু করে প্রমোশন সাজানো হচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে এটা আমাদের গর্বের বিষয়। একদিকে কিং খান, পাশাপাশি বি-টাউনের অন্যতম সুপারহিট স্টার দীপিকা পাড়ুকোন, এটাই সবথেকে চমকপ্রদ, কারণ এই জুটি ইতিমধ্যেই ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন। তাই পাঠান ছবি ঘিরে ভক্তদের খিদে বর্তমানে দ্বিগুণ। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ছবির মুক্তির দিন, ২০২৩ সালে ২৫ জানুয়ারি পর্দায় ফিরছেন কিং খান। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রথম লুক সামনে আসেনি সুপারস্টারের।
আরও পড়ুন- Shaktimaan: অ্যাভেঞ্জারদের থেকে কোনও অংশে কম নয় আমাদের শক্তিমান: কারণ ব্যাখ্যা মুকেশ খান্নার