হৃতিকের শরীরে বাঙালির রক্ত, আসল ইতিহাস বাবা রাকেশকে ঘিরে, জানেন?
Hrithik Roshan: মাত্র কুড়ি বছর বয়সে কলকাতা ছেড়েছিলেন ইরা রোশন। পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লি অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে। তারপরের ঘটনা যেন আস্ত এক সিনেমা। ইরা ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। গান ভালবাসতেন অন্তর থেকে।

বয়স ৫০ পার করেছেন। যদিও দেখলে কেউই বলবেন না! কথা হচ্ছে হৃতিক রোশনের। তাঁকে নিয়ে এখনও ভক্তমনে ওঠে হিল্লোল। শুধু কি তাই? তাঁর তুলনা চলে গ্রীক দেবতার সঙ্গেও। জানেন কি হৃতিক রোশনের শরীরে বইছে বাঙালি রক্ত? সেই রক্তের উৎস লুকিয়ে আছে তাঁরা বাবার জন্মবৃত্তান্তকে ঘিরেই। হৃতিকের কোন নিকটাত্মীয় বাঙালি? শুনলে চমকে যাবেন।
মাত্র কুড়ি বছর বয়সে কলকাতা ছেড়েছিলেন ইরা রোশন। পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লি অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে। তারপরের ঘটনা যেন আস্ত এক সিনেমা। ইরা ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। গান ভালবাসতেন অন্তর থেকে। আর এই গানই তাঁর পরিচয় ঘটিয়ে দেয় সঙ্গীত পরিচালক রোশনলাল নাগরথের সঙ্গে। প্রেম পরিণতি পেতে বেশি সময় লাগেনি। জানতে ইচ্ছে করছে তো ইরা-রোশনলালের সঙ্গে হৃতিকের সম্পর্ক ঠিক কী? হৃতিকের নিজের ঠাকুরদাদা হলেন রোশনলাল। যার নাম ধার করেই বর্তমানে রোশন পদবী ব্যবহার করে থাকেন হৃতিকের পরিবার। আর ইরা হলেন অভিনেতার নিজের ঠাকুমা, যিনি জন্মসূত্রে ছিলেন বাঙালি।
ঠাকুমার সঙ্গে হৃতিক।
রাকেশ বাংলা বলতে পারলেও, হৃতিক কিন্তু তা পারেন না। তবে বাঙালি খাবার তাঁর বেশ পছন্দ। রসগোল্লার ভক্ত তিনি। আর মিষ্টি দই? সেও দারুণ প্রিয় তাঁর। হৃতিকের ডাকনাম ডুগগু। ওই ডাকনাম কিন্তু আদপে দিয়েছিলেন তাঁর ঠাকুমা ইরাই। ইন্ডাস্ট্রি বলে রোশন পরিবারের ইরার কথাই ছিল শেষ কথা। রান্না করা ছিল তাঁর শখ। ঠাকুমার হাতের তৈরি মাছের পদ ইরার ছিল বড় প্রিয়। ভালবেসে হৃতিক তাঁকে ডাকতেন ‘ঠামি’ বলে। ‘নানি’, ‘নানু’, ‘দাদি’ নয়! আজও এই শহরে এল ঠামির কথা বড় মনে পড়ে অভিনেতার। স্মৃতি রয়েছে তরতাজা। তবে ঠামি ছেড়ে গিয়েছেন সেই ২০০৫ সালে। ডুগগুর যদিও আজও প্রতিটামুহূর্তে মনে পড়ে তাঁকে।
