AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিবাহিত জীবনে অশান্তি চরমে; ‘সিঙ্গল বাবা’ কৌশিক কীভাবে পেলেন অসুখী লাবণীকে?

Laboni-Kaushik: কৌশিক এক অসামান্য মানুষ। পৃথিবীতে তাঁর মতো মানুষ পাওয়া বিরল। স্বামীর প্রশংসায় আপ্লুত লাবণী জানিয়েছিলেন সেই কথাই। এদিকে এই কৌশিকই কিন্তু বাংলা বাণিজ্যিক ছবির সেই দুঁদে খলনায়ক যাঁর অভিনয় দেখে অসম্ভব রেগে যেত জনতা। কেবল স্ত্রী লাবণী নন, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই মানুষ কৌশিককে এগিয়ে রাখেন।

বিবাহিত জীবনে অশান্তি চরমে; 'সিঙ্গল বাবা' কৌশিক কীভাবে পেলেন অসুখী লাবণীকে?
লাবণী-কৌশিক।
| Updated on: Feb 10, 2024 | 11:47 AM
Share

দুই তারকারই প্রথম বিয়ে ছিল অসফল। নানাভাবে অসুখী দুই তারকার দেখা হয় একটি যাত্রাপালায় অভিনয় করতে গিয়ে। সেই যাত্রাপালাটির নাম ‘শান্তির চিতা জ্বলছে’। অভিনেত্রী লাবণী সরকার এবং অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিগত দুই দশক ধরে সংসার করছেন সুখে। কিন্তু তাঁদের দু’জনেরই একটা সময় অন্ধকার নেমে এসেছিল জীবনে। ছিল নিত্য অশান্তি।

অনেক বছর আগেকার ঘটনা। অসম্ভব খারাপ সময় দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী লাবণী সরকার। তাঁর বিবাহিত জীবন ছিল দুর্বিষহ। হতাশায় তলিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রমাগত। বাবা প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর আগেই। বাবার মতো একটি শক্ত খুঁটি খুঁজছিলেন লাবণী। সেই সময় তাঁর আলাপ হয় কৌশিকের সঙ্গে। অদ্ভুত মিল। কৌশিকও সেই সময় তাঁর বিবাহিত জীবনে একাকী বাবা হয়ে লড়াই করছেন। ছোট্ট ছেলেকে আগলে ধরে আছেন। সেই অসুখী বিয়ে থেকে প্রাণপণ বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন কৌশিকও। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরই মতো হতাশাগ্রস্ত লাবণীর সঙ্গে আলাপ হওয়ায় একে-অপরের মধ্যে জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পান। খারাপ বিয়ে থেকে মুক্তি পেয়ে দু’জনেই বিয়ে করেন। লাবণী-কৌশিকের পুত্রকে চিরকাল নিজের সন্তানের মতো ভালবাসা দিয়েছেন। কৌশিক নিজ মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন, “আমার স্ত্রী লাবণী আমার ছেলের মা নন। কিন্তু ওদের সম্পর্ক পৃথিবী একনম্বর।”

এদিকে সিঙ্গল বাবা হয়ে কোনওদিনও যে সন্তানের মা হওয়া যায় না, তা নিজেই বলেছিলেন কৌশিক। তিনি বলেছিলেন, “শুটিংয়ের ফাঁকে বাড়িতে এসে দেখে যেতাম ছেলে খেয়েছে কি না। আমি বিশ্বাস করি, মায়ের অভাব বাবা কোনওদিনও পূরণ করতে পারেন না। সেটা মা-ই পারেন।”

কৌশিক এক অসামান্য মানুষ। পৃথিবীতে তাঁর মতো মানুষ পাওয়া বিরল। স্বামীর প্রশংসায় আপ্লুত লাবণী জানিয়েছিলেন সেই কথাই। এদিকে এই কৌশিকই কিন্তু বাংলা বাণিজ্যিক ছবির সেই দুঁদে খলনায়ক যাঁর অভিনয় দেখে অসম্ভব রেগে যেত জনতা। কেবল স্ত্রী লাবণী নন, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই মানুষ কৌশিককে এগিয়ে রাখেন। তিনি নাকি বাংলা সিনেমার ‘প্রাণ’ (বলিউডের ভিলেন ছিলেন প্রাণ। পর্দায় খারাপ মানুষের অভিনয় করলেও ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর মতো ভাল মানুষ নাকি ছিলেন না কেউই)।