অমিতাভ নয়, ধর্মেন্দ্রকে ভালবেসেছিলেন জয়া! প্রথম দেখায় করেছিলেন এক কাণ্ড
অমিতাভের প্রেমকাব্যও বহুবার অমিতাভ ও জয়ার সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু জয়া একটিবারের জন্যই অমিতাভের পাশ ছাড়েননি। বরং আরও শক্ত করে ধরেছিলেন বচ্চন পরিবাবের হাল। তবে জানেন কি জয়ার প্রথম ভালবাসার মানুষ একেবারেই ছিলেন না অমিতাভ।

অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জয়া বচ্চনের দাম্পত্যর বয়স ৫২ বছর। নিজেদের জীবনে প্রচুর ওঠাপড়া দেখেছেন জয়া ও অমিতাভ। রেখার সঙ্গে অমিতাভের প্রেমকাব্যও বহুবার অমিতাভ ও জয়ার সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু জয়া একটিবারের জন্যই অমিতাভের পাশ ছাড়েননি। বরং আরও শক্ত করে ধরেছিলেন বচ্চন পরিবাবের হাল। তবে জানেন কি জয়ার প্রথম ভালবাসার মানুষ একেবারেই ছিলেন না অমিতাভ। বরং বলিউডের হিম্যান নামে খ্যাত ধর্মেন্দ্রকেই মন দিয়েছিলে জয়া!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সালটা ১৯৭১। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে প্রথমবার জুটি বাঁধলেন জয়া। ছবির নাম গুড্ডি। তখন অবশ্য তিনি জয়া ভাদুরি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই নতুন। প্রথম দিন শুটে গিয়েই ধর্মেন্দ্রকে দেখে প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
কয়েক বছর আগে করণ জোহরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া বলেন, ”ধর্মেন্দ্র একেবারে গ্রিক গড। প্রথমবার যখন দেখি, তখন সাদা হাইনেক শার্ট ও সাদা ট্রাউজার পরে ছিলেন। চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। ভাবতাম, একজন পুরুষ মানুষ, এতটা সুন্দর হয় কীভাবে!”
এই সাক্ষাৎকারে জয়া আরও বলেন, তখন হেমা মালিনীর সঙ্গে ধর্মেন্দ্র চুটিয়ে প্রেম করছে। আমার কাছে শোলে ছবির অফার এল। আমি পরিচালক রমেশ শিপ্পিকে অনুরোধ করেছিলাম, আমাকে বসন্তী চরিত্রটা দিতে। যেটা হেমা করেছিল। আসলে, এর নেপথ্যে একটাই কারণ ছিল, আমি ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে কাজ করতে চেয়েছিলাম। ওর প্রেমিকা হতে চেয়েছিলাম।
জয়ার এমন মন্তব্য শুনে ধর্মেন্দ্র বলেন, জয়া বরাবরই আমার কাছে সেই ছোট্ট গুড্ডি। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল জয়া ও ধর্মেন্দ্রকে।
