বুকের খাঁজ, খিস্তি ও ভিউ, ফেসবুকে বেপরোয়া ঝিলম গুপ্ত!
বাংলা সিনেমার রিভিউ থেকে, মানুষের নিত্য ব্য়বহারের ছবি ঝিলম ফুটিয়ে তোলেন তাঁর কনটেন্টে। ভিউও প্রচুর। কিন্তু ভিউ পাবো বলেই কি অশ্লীল কনটেন্ট, শরীরের ব্যবহার? ভিউ মানেই কি বুকের খাঁজ, গালিগালাজ?

সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। ইউটিউবার। আজকাল যেকোনও সেলব্রিটি বা নেতাদের থেকে কম যান না তাঁরা। সোশাল মিডিয়ার হাত ধরে তাঁদের কথায়, নেটিজেনরা প্রাভাবিত হন। কখনও সেই প্রভাব পজিটিভ, কখনও বা নেগেটিভ। তাই হয়তো, ইদানিং সিনেমার প্রচার থেকে শুরু করে, নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রচারেও, দেখা মেলে এই সোশাল ইনফ্লুয়েন্সারদের। তেমনই এক নাম ঝিলম গুপ্ত। বাংলা সিনেমার রিভিউ থেকে, মানুষের নিত্য ব্য়বহারের ছবি ঝিলম ফুটিয়ে তোলেন তাঁর কনটেন্টে। ভিউও প্রচুর। কিন্তু ভিউ পাবো বলেই কি অশ্লীল কনটেন্ট, শরীরের ব্যবহার? ভিউ মানেই কি বুকের খাঁজ, গালিগালাজ? সম্প্রতি ফেসবুকের লম্বা পোস্টে গর্জে উঠলেন ঝিলম। আর এই গর্জনের নাম দিলেন, ‘প্রেমকথা।’ নেটিজেনরা বলছেন, বরাবরই ঠোঁটকাটা ঝিলম, এই পোস্টেও বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর ঝাঁঝ কতটো, তিনি কতটা বেপরোয়া।
ঠিক কী লিখলেন ঝিলম?
ঝিলম তাঁর পোস্টের শিরোনামে রাখলেন, বুকের খাঁজ, খিস্তি ও ভিউ, একটি প্রেমকথা। প্রথম লাইনেই ঝিলম স্পষ্ট করলেন, যে সোশাল মিডিয়া তাঁকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে, সেই সোশাল মিডিয়ার নিন্দাই তিনি করছেন এই পোস্টে। সঙ্গে যুক্ত করলেন, তাঁর বাবার দোষ হলেও, তিনি প্রতিবাদ করেন। তাঁর কাছে ফেসবুক তো কিছুই না। তারপরই তিনভাগে ভাগ করলেন তাঁর লেখাকে। গল্প শোনালেন তিন মহিলা ইনফ্লুয়েন্সারের অশ্লীল আচরণ ও কনটেন্টের। দোষ ধরলেন, ফেসবুকের, যে সংবেদনশীল কনটেন্ট হলেই নাকি ফেসবুক বাতিল করে সেই পোস্ট। তাহলে এসব কী? প্রশ্ন তুললেন মহিলাদের রুচিরও। হতাশ হলেন, সোশাল মিডিয়ায় শুধু অর্থ উপার্জন নয়, সেই সোশাল মিডিয়ায় ফোন নম্বর দিয়েই, শরীরকে ব্যবহারের লাইসেন্স!
ঝিলম উদাহরণ দিলেন তিনটে ভিডিওর, যেখানে তুলে ধরলেন তিনি মহিলার কথা। সেই ভিডিওতে শুধু মহিলা নয়, রয়েছে ১৩ বছরের নাবালকও। রয়েছে অশ্লীল পোশাকে সংসারের কর্মকাণ্ডর ভিডিও। রয়েছে কুৎসিত শাড়ি পড়াও।
ঝিলম তাঁর এই পোস্টে লিখলেন, ” শ্যাওড়াফুলির ওপর দিয়ে যখন তারকেশ্বরগামী ট্রেন যায়, সেই ট্রেন থেকে ওখানকার একটি পুরনো যৌনপল্লী দেখতে পাওয়া যায়। সেখানকার যৌনকর্মীরা সেখানে কেউ এসেছেন ভাগ্যের ফেরে আবার কেউ দারিদ্র্যের তাড়নায় আর কোন পথ না পেয়ে। কিন্তু যখন ট্রেন যায়, এই পল্লীর বাসিন্দারা শাড়ির আঁচল দিয়ে বা ওড়না দিয়ে নিজেদের মুখ ঢাকেন। অথচ এদের যৌনকর্মী হওয়ার সরকারি পরিচয় পত্র আছে। ”
উদাহরণ দিলেন, রাস্তাঘাটে গালিগালাজের। সঙ্গে লিখলেন, ”আমি কষ্ট পাই। আপনি ভাবতেই পারেন ন্যাকামি করছি কষ্ট পাই কষ্ট পাই লিখে। ভাবতেই পারেন। আমার কিছু যায় আসেনা। ঠিক যেমন এই বদমাইশ জঞ্জালগুলো যাই অপরাধ দিনের পর দিন করুক, তাতে ফেসবুক বা সমাজের আসলে কিছু যায় আসেনা। ”
