তৃণমূলের কুণাল ঘোষ হয়ে গেলেন গোপাল ঘোষ! বীরভূমের মাটিতে একী কাণ্ড ঘটে গেল দিনেদুপুরে
প্রথমেই বলে রাখা যাক, এ গল্প অভিনেতা কুণাল ঘোষের। যিনি এই মুহূর্তে বীরভূমের বাঘগ্রামে গোপাল ঘোষ নামেই পরিচিত। সেই গোপাল ঘোষের দাপট এমন যে গ্রামে গাছের পাতাও তাঁর নির্দেশেই নড়ে। আর সেই দাপুটে গোপাল ঘোষের অবতারের সঙ্গেই ফেসবুক লাইভে পরিচয় করিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।

চোখে সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি ও ধূসর রঙের জহর কোট। ঠোঁটের উপর পাতলা গোঁফ। দেখতে, শুনতে একেবারে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু নাম জিজ্ঞাসা করুন, অবলীলায় বলছেন ‘গোপাল ঘোষ’! ভাবছেন ব্যাপারটা কী? এ গল্প একেবারে ফিল্মি।
খোলসা করা যাক। প্রথমেই বলে রাখা যাক, এ গল্প অভিনেতা কুণাল ঘোষের। যিনি এই মুহূর্তে বীরভূমের বাঘগ্রামে গোপাল ঘোষ নামেই পরিচিত। সেই গোপাল ঘোষের দাপট এমন যে গ্রামে গাছের পাতাও তাঁর নির্দেশেই নড়ে। আর সেই দাপুটে গোপাল ঘোষের অবতারের সঙ্গেই ফেসবুক লাইভে পরিচয় করিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
বীরভূমের মাটিতে কী কাণ্ড করলেন তিনি?
ফেসবুক লাইভে এসে গোপাল ওরফে কুণাল ঘোষ জানালেন, এই এলাকায় তাঁকে সবাই মেজদা বলে ডাকে। চারপাশের পাতাগুলো এই মেজদার অনুমতিতেই নড়েচড়ে। কিন্তু এতো গেল পর্দার গোপাল ঘোষের দাপুটে রূপ। কিন্তু সেই দাপুটে গোপাল ঘোষ ওরফে কুণাল আবার পরিচালক ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই কাজ করছেন। কেননা, অভিনেতা কুণালের ‘শেকড়’ বাঁধা পরিচালক ব্রাত্যর হাতে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি গল্পকে এক করে ছবি তৈরি করছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। ছবির নাম শেকড়। এই ছবিতে অল ইন্ডিয়া পিপলস পার্টির নেতা গোপাল ঘোষের চরিত্রে দেখা যাবে কুণাল ঘোষকে। এই মুহূর্তে এই ছবিরই শুটিং করতে বীরভূমের রয়েছেন কুণাল। শুটিংয়ের ফাঁকে ফেসবুক লাইভ এসে কুণাল জানালেন, সাংবাদিক হিসেবে এর আগে বীরভূমে এসেছি, রাজনীতিবিদ হিসেবেও এসেছি। এবার অভিনেতা হিসেবে পা রেখেছি। দারুণ অভিজ্ঞতা।
ব্রাত্য বসুর এই ছবিতে কুণাল ঘোষ ছাড়া রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, সীমা বিশ্বাস, অম্বরীশ ভট্টাচার্যর মতো অভিনেতারা। এই ছবিতে রয়েছেন আরেকজন রাজনীতিবিদ নারায়ণ গোস্বামীও।
