স্ত্রী প্রেগন্যান্ট, তখন পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন ওম পুরী
সীমার দাবি, বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, সীমা প্রথমে বিয়ে ভাঙতে চাননি। তাঁর মনে হয়েছিল, সম্পর্কটা ঠিক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বিষয়টা আর সেই দিকে এগোয়নি। সীমা কিছু দিন এমন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর প্রেগন্যান্সির তিন মাসের মাথায়, সম্পর্ক ভেঙে ছিলেন। সীমা আরও জানান, হলিউডের সিনেমা 'সিটি অফ জয়'-এর সূত্রে এক সাংবাদিক নন্দিতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় ওম পুরীর।

ওম পুরীকে নিয়ে একটা সত্য সম্প্রতি সামনে এনেছেন, তাঁর প্রথম স্ত্রী সীমা কাপুর। কেন তাঁদের বিয়েতে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, সেটাই খোলসা করেছেন সীমা। সীমার কথা অনুযায়ী, যখন প্রেগন্যান্ট ছিলেন সীমা, সেই সময়ে ওম পুরীর অন্য সম্পর্ক শুরু হয়। সীমার দাবি, বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, সীমা প্রথমে বিয়ে ভাঙতে চাননি। তাঁর মনে হয়েছিল, সম্পর্কটা ঠিক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বিষয়টা আর সেই দিকে এগোয়নি। সীমা কিছু দিন এমন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর প্রেগন্যান্সির তিন মাসের মাথায়, সম্পর্ক ভেঙে ছিলেন। সীমা আরও জানান, হলিউডের সিনেমা ‘সিটি অফ জয়’-এর সূত্রে এক সাংবাদিক নন্দিতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় ওম পুরীর। তাঁদের বন্ধুরা মনে করেছিলেন ওম পুরীর এই সম্পর্কের বিষয়টা সাময়িক। সীমা সত্যিটা পরে জানতে পারেন, যখন ওম পুরী তাঁকে দিল্লিতে ডেকে বিষয়টা বলেন। তিনি মুম্বই ফিরে কিছু প্রেমপত্র পান, যাতে সত্যিটা প্রমাণিত হয়েছিল। তারপরও সীমা বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছিলেন। তাঁর সন্তানের কথা ভেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারেননি।
সীমার এই সাক্ষাত্কার সামনে আসার পর নেটিজেনদের একাংশ নানা রকম মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ”বলিউডের কত বিয়ের সম্পর্কের মধ্যে যে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়েছেন, তা কিছু না কিছুভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। কেউ বিয়ে ভেঙে বেরিয়েছেন। কেউ পরকীয়ার কথা জানার পরেও সম্পর্কে থেকেছেন। তবে এসব সম্পর্ক আসলে যে ঠুনকো, সেটা বোঝাই যায়।”
