জীবনে প্রেম আসে। আবার সম্পর্ক ভেঙেও যায়। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলে কি নিজের কাছে নিজে স্বাধীন হওয়া যায়? ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে এ প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিনেত্রী অলিভিয়া সরকারকে। দীর্ঘ ১০ বছরের একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কি স্বাধীন মনে হয়েছিল নিজেকে?
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে অলিভিয়া বলেন, “স্বাধীন অনুভূত হওয়াটা নির্ভর করে কতটা টক্সিক রিলেশন ছিল তার উপর। আমার ১০ বছরের বন্ধুত্ব ছিল। প্রেম ছিল তিন বছরের। এই পুরো সময়টা, যখন প্রেম করি, বিশ্বাস করি কোনও একটা মানুষকে, যখন মনে হয় ওর সঙ্গে থাকব, তখন ফ্রিডম ব্যাপারটা অনেক আগেই মাথা থেকে বেরিয়ে যায়।”
যখন প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তখন কি তাঁর উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হত? অলিভিয়া শেয়ার করলেন, “অনেকে বলেন কন্ট্রোলড ফিল করছি। মনে হচ্ছে বেঁধে রাখছে আমাকে। কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি, কেন বলব? আমার মনে হয়, এই প্রশ্নগুলো জানতে চাওয়ার জন্য করেছি, এমন নয়। এটা নর্মাল। এটা প্রায়োরিটি। এটা সিম্পল ভাবে দেখা হোক না। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকা মানে ফ্রিডম কেড়ে নিল, এমন নয়।”
যে সম্পর্ক এক সময় তাঁর প্রায়োরিটি ছিল, আজ অলিভিয়ার কাছে ছবিটা একেবারেই আলাদা। তাঁর কথায়, “বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রায়োরিটি চেঞ্জ হয়। পছন্দ পাল্টায়। খুব ন্যাচারাল। হিউম্যান রেভোলিউশন লাইক আ রিভার। স্ট্যাগনেন্ট থাকতে পারে না। ফলে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া ফ্রিডমের ব্যাপার নয়। যদি সম্পর্কে মনে হয় সাফোকেটেড, তা হলে আলাদা কথা। যদি অভিমান করলে রেউ রাগ না ভাঙায়, সামনের মানুষটাও রাগ করে বসে থাকে। যদি দেখা যায়, অভিমান ভাঙানোর কেউ নেই, যাকে ভালবাসলাম, সেই আমাকে সব দোষ দিচ্ছে। সেটা টক্সিক।”
দীর্ঘ বন্ধুত্ব এবং প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে অনেক পরিণত হয়েছেন অলিভিয়া। নিজের মতো করে স্বাধীনতার মানে খুঁজে নিয়েছেন। তিনি বললেন, “আমি এখন আর রাগ করি না। রাগ করা ছেড়ে দিয়েছি। এই পরিবর্তন আমার হয়েছে। আই ক্যান এক্সপ্রেস, এক্সপ্লোর মাইসেল্ফ মোর, সেটা ফ্রিডম। এক বছর হয়ে গিয়েছে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গিয়েছি। নিজের মতো ভাল আছি আমি।”
‘জয়ী’ অলিভিয়ার শেষ ধারাবাহিক। আবার টেলিভিশনে ফিরতে চাইছেন? অলিভিয়া বললেন, “এমন তো ব্যাপার নেই যে টেলিভিশন করব না। স্বীকৃতি, পরিচিতি দেওয়া, অভিনেত্রী হিসেবে স্ট্রং করা সবই তো করেছে টেলিভিশন। টেলিভিশন আমাকে সব দিয়েছে। তবে আরও ভাল কিছু করার ইচ্ছে আছে। এক সময় ‘মিলন তিথি’, ‘ভুতু’, ‘ঝাঁজ লবঙ্গ ফুল’ একসঙ্গে চলেছে, অল্টারনেট ডে তে শুটিং করেছি। একটা সময় মনে হয়েছিল ব্যালান্সের খুব প্রয়োজন। পার্সোনাল লাইফে একটুও সময় দিতে পারছিলাম না। এখন আর কাউকে এক্সট্রা প্রায়োরিটি দেওয়ার নেই। ফলে কাজের ফ্লো শুরু হোক।”
আরও পড়ুন, ‘নায়িকাকে যৌনতা নিয়ে কথা বলতে দেখতে মানুষ অভ্যস্ত নন’, কেন বললেন করিনা?