শিশুশিল্পী হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ। ছোট বয়সেই তাঁর ঝুলিতে জায়গা করে নিয়েছিল ‘চাচি ৪২০’, ‘ওয়ান টু কা ফোর’-এর মতো ছবি। পরদায় অভিনয়রত সেলেব্রিটি শিশু শিল্পী হওয়ার স্টেটাসের মধ্যে কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছিল বাচ্চা মেয়ের ছোট্ট মনটা। সেই সময় স্কুলে বন্ধু তৈরি করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল ফাতিমা সানা শেখকে। এক সাম্প্রতিকতম সাক্ষাৎকারে সেই কথাই ব্যক্ত করেছেন ফাতিমা।
স্কুলের জীবন, ছোট বয়সের বন্ধু-বান্ধবী… তাঁদের সঙ্গে মাঠে খেলাধুলো, ছোট ছোট স্মৃতি তৈরি করতেই যেন মন কেমন করেছিল ফাতিমার। তাই জনপ্রিয় শিশুশিল্পী হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ একদিন অভিনয় থেকে সরে এসেছিলেন।
ফাতিমা বলেছেন, “প্রত্যেকের জীবনে যেমন থাকে, আমার নিজের জীবনে সমবয়সের কোনও বন্ধু ছিল না। কাজের ব্যস্ততার কারণে স্কুল যাওয়া কম হত। ফলে সেই ভাবে বন্ধু তৈরি করতেই পারছিলাম না। যখনই স্কুলে যেতাম, সকলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতাম। বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করতাম। আর ছবির সেটে যেটা হত, সকলেই আমার চেয়ে বয়সে অনেকটা বড় ছিলেন, ফলে আমার মনের কথা তাঁরা বুঝতে পারতেন না। আমাকে বাচ্চা হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। স্কুলে গেলে কেউ আমাকে দলে নিতে চাইত না। কেনই বা নেবে। আমি তো রোজ স্কুলে যেতাম না। ফলে পাত্তা পেতাম না।”
স্কুলে বন্ধুদের থেকে টিপ্পনিও খেয়েছিলেন ফাতিমা। বন্ধুরা তাঁকে ব্যঙ্গ করেই বলতেন, “বাইরে বড় স্টার হয়ে ঘুরে বেড়ায়, আমরা দেখি তো ওকে।” ফাতিমা মনে করেন, ছোট বাচ্চারাও নির্মম হতে পারে। সেই নির্মমতার আঁচ পড়েছিল ফাতিমার শৈশবেও। একদিকে দিনে ১৬ ঘণ্টার শুটিং সামলাতেন, অন্যদিকে স্কুলে এসে পরীক্ষা দিতেন। একটা সময় পর মনে করেছিলেন স্কুলেই মনযোগ দেবেন। তাই সফল শিশুশিল্পী হওয়া সত্ত্বেও অভিনয় থেকে সরে এসে শৈশব উপভোগ করেছিলেন ফাতিমা।
আরও পড়ুন: Jacqueline Fernandez: সুকেশ-কাণ্ডে ফেঁসে হাতছাড়া হচ্ছে জ্যাকলিনের কাজ, নিতে চাইছেন না সলমনও