যত দিন এগোচ্ছে, ‘বিগ বস’-এর বাড়ি যেন রণক্ষেত্রের চেহারা নিচ্ছে। কখনও লাইমলাইটে থাকছেন শমিতা শেট্টি। আবার কখনও বা প্রতীক সহজপালের মন্তব্যে ঝড় উঠছে বিগবসের বাড়ি জুড়ে। সম্প্রতি অভিনেতা রাকেশ বাপৎকে নিয়ে প্রতীকের মন্তব্য যেন ঝড় তুলেছে সামাজিক মাধ্যমে। তা এতটাই ব্যক্তিগত যে প্রকাশ্যেই কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাকেশের এই অবস্থা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি প্রাক্তন স্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋদ্ধি ডোগরা। প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। কী হয়েছে?
যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে উচ্চস্বরে রাকেশকে প্রতীক বলছেন, “তুমি মেরুদণ্ডহীন। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই নেই তোমার।” এখানেই শেষ নয়, যতবারই রাকেশের মুখোমুখি হয়েছেন মেরুদন্ডহীন বলে ডেকে উঠেছেন প্রতীক। এক সময় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে রাকেশের। চিৎকার করতে করতেই কেঁদে ফেলেন তিনি। রাকেশের পাশে দাঁড়ান শমিতা শেট্টি। কাঁদতে কাঁদতে রাকেশ শমিতাকে বলেন, “এ কে গেম বলে? দরকার নেই আমার এমন গেম খেলার।” এখানেই শেষ নয়, বেডরুমেরও করণ-ঋদ্ধিমার সামনে কেঁদে ফেলেন রাকেশ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, তাঁর বাবা একজন সৈনিক। তিনি দেশের জন্য লড়েছেন। তাঁর সন্তানকে মেরুদন্ডহীন বলা আদৌ কতটা ঠিক। তাঁর কথায়, “আমি ফৌজির সন্তান। সঠিক জিনিসের জন্য লড়াই করব, নয়তো করব না।” প্রাক্তন স্বামীর এ হেন অবস্থা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি ঋদ্ধি ডোগরা।
তিনি একটি কমেন্টে লেখেন, “যে ভাল ও মনুষ্যত্বকে আঁকড়ে থাকে সেই বিজয়ী। চিৎকার করা, ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলা, অন্যকে কথা বলতে না দেওয়া যদিও সমাজের চোখে বিনোদন হিসেবে গৃহীত হয়। কিন্তু আমাদের মতো কেউ কেউ আবার মনুষ্যত্বের পাশে। সেটাই সবচেয়ে বেশি ম্যাটার করে।” ঋদ্ধির ওই কমেন্ট সমর্থন করেছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। একজন লেখেন, “রাকেশের ওই ব্রেকডাইন দেখে একটাই কথা মনে হচ্ছে, কেউ যদি ঝামেলায় জড়াতে না চায় তাঁকে কী করে কেউ মেরুদন্ডহীন বলতে পারে। আসল ভিলেন হল নির্মাতারা। যেহেতু সে তোমায় কন্টেন্ট দিচ্ছে না তাই তাঁকে যা খুশি তাই বলা যায়।” ব্যক্তির সেই কমেন্টকে শেয়ারও করেন ঋদ্ধি। নিন্দার ঝড় ওঠে প্রতীকের বিরুদ্ধেও। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ বিচ্ছেদ হয়ে যায় রাকেশ-ঋদ্ধির। যদিও তাঁরা এখনও ভাল বন্ধু।
বিগবস কিছুদিন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চলার পর তা টেলিকাস্ট হবে টিভিতে। টিভির বিগবস সঞ্চালনার দায়িত্ব থাকবে সলমন খানের উপরেই। ওটিটির বিগবস অবশ্য সঞ্চালনা করছেন করণ জোহর। করণ জোহরে কে বলিপাড়ার ‘গসিপ এজেন্ট’ বলা হয়। তিনি সঞ্চালক, তাই শো’র টিআরপি নিয়ে নির্মাতারা যে আশাবাদী তা বলার অপেক্ষাই রাখে না। এরই মধ্যে এ বারের প্রতিযোগীরাও কেউ কারও থেকে কম নয়। এ সবের মধ্যেই এই সব বিতর্ক যোগ করছে বাড়তি উন্মাদনা। শো সুপারহিট? নির্মাতারা অবশ্য মনে করছেন তেমনটাই।