বাইপাসে ধাক্কা মারল গাড়ি, ভয়ানক পথ দুর্ঘটনার কবলে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

Anindya Chattopadhyay: একটা সময় নেশার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন অনিন্দ্য।  নেশা মুক্তি নিয়ে চলেছিল তাঁর অদম্য লড়াই।

বাইপাসে ধাক্কা মারল গাড়ি, ভয়ানক পথ দুর্ঘটনার কবলে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (সৌ: ইনস্টাগ্রাম)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 5:44 PM

বাইপাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে আরসালান রেস্তরাঁর কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। অনিন্দ্য জানিয়েছেন, সকালে সাইকেল চালানোর সময় পিছন থেকে একটিও গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাঁকে। আহত হন অভিনেতা। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। যদিও হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, শরীরের নিচের অংশের ট্যিসু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর।  কিছুদিন শুটিং করতে পারবেন না অভিনেতা। কিছু মানুষকে পাশেও পেয়েছেন এই বিপদের সময়। ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদের।

View this post on Instagram

A post shared by Anindya Chatterjee (@achatterjee4)

গোটা ঘটনার সম্পূর্ণ বর্ণনা করে অনিন্দ্য লিখেছেন, “আমি এখন ভাল আছি। আজ সকালে একটা অ্যাক্সিডেন্টের মুখে পড়েছিলাম। বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলাম। বাইপাসে চালাচ্ছিলাম। আর্সালানের কাছে একটি চার চাকার গাড়ি পিছন থেকে আমার বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। আমি ছিটকে পড়ি। আমার বাইকটির কিছু হয়নি, কিন্তু আমার খুব ব্যথা লেগেছে। শরীরের ক্ষতি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার শরীরের নীচের অংশের টিশু ছিঁড়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ বেড রেস্টে আছি আমি। এখন কাজ করতে পারব না। কয়েকদিন পরেই শুটিং ফ্লোরে ফিরতে পারব। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই নিশান্ত মহেশ্বরী, শুভার্থ দত্ত ও রোমি দত্তকে। আজ আপনারা আমার জন্য যা করলেন কোনওদিনও ভুুলব না। খুব তাড়াতাড়ি ফিরছি…”
টিভিনাইন বাংলার তরফ থেকেও অনিন্দ্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। কড়া অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। তবে আগের থেকে একটু ভাল আছি।” অনিন্দ্যর এই খবরে চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা। অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁরা। যদিও রসিকতা ছাড়েননি যশ দাশগুপ্ত, পার্নো মিত্রর, মিমি চক্রবর্তীর মতো অনিন্দ্যর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। ‘বন্ধুসুলভ রসিকতায়’ মেতেছেন তাঁরা। কমেন্টে অনিন্দ্যর জবাব, “তোরা আমায় ভাল থাকতে দিবি না, আমি বুঝে গিয়েছি”।
একটা সময় নেশার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন অনিন্দ্য।  নেশা মুক্তি নিয়ে চলেছিল তাঁর অদম্য লড়াই। রিহ্যাবে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অন্ধকারে তলিয়ে যাননি। সঙ্গী হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন বাবাকে। নেশার হলাহল থেকে নিজেকে মুক্তি করে আলোর পথে ফিরে এসেছেন মাথা উঁচু করে। তারপর আর ফিরে যাননি পুরনো অভ্যাসে। কাজে মন দিয়েছেন। অন্য মানুষ হয়ে উঠেছেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ান সবসময়। নিজেকে আমুল পালটে নিয়েছেন অভিনেতা।
বহু বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন অনিন্দ্য। ‘চেকম্যাটার’, ‘আগুনপাখি’, ‘বক্সার’, ‘আমি আসব ফিরে’, ‘ফিদা’, ‘অন্দরকাহিনি’, ‘দ্য পার্সেল’-এর মতো ছবি আছে তাঁর অভিনয়ের তালিকায়। বাড়িতে দুই পোষ্যকে নিয়ে তাঁর সংসার। অবসরে তাদের দেখভাল করে, গান গেয়ে, রিহার্সাল করেই কাটিয়ে দেন। এই দুর্ঘটনার পর আপাতত বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না। তবে মনের জোর। তাড়াতাড়ি ফিরবেন অনিন্দ্য। সম্প্রতি অরিন্দম শীলের ‘খেলা যখন’ ছবির শুটিং করার কথা অনিন্দ্যর। ২৩ অগাস্ট থেকে আউটডোরে শুটিং করার কথা। এখন কীভাবে তিনি শুটিং করবেন, সেটা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী।