Kiran Rao: কোন জনপ্রিয় ছবিতে আমিরের সঙ্গে অভিনয় করেন প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ?
Kiran Rao: ২০০৫ সালে আমির খানের সঙ্গে বিয়ে হয় কিরণের। কিরণ আমির খানের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁদের বিয়ের নেপথ্যেও রয়েছে এক অজানা গল্প। হেভিওয়েট বিয়ে। রাখতে হবে লুকিয়ে।
বিয়ের ১৫ বছর পর গত বছর জুলাই মাসে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন আমির খান ও কিরণ রাও। তাঁদের বন্ধুত্ব আজও অটুট। কিরণ একদিকে প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। তবে জানেন কি আমির খানের সঙ্গে স্ক্রিনও শেয়ার করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন এক ছবিতে। আজ তাঁর ৪৯ বছর পূর্ণ হল। জন্মদিনে জেনে নিন, সেই ছবির নাম।
ফারহান আখতারের প্রথম ছবি ‘দিল চাহতা হ্যায়’। ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ওই ছবি। আমির খান ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। দেখা গিয়েছিল সইফ আলি খান, অক্ষয় খান্নাকে। ওই ছবিতেই এক বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কিরণ। ছবিতে আমির খানের চরিত্রের নাম ছিল আকাশ। আকাশকে যে মেয়ে ভালবাসতেন সেই মেয়ের বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কিরণ। একেবারেই স্বল্প সময় স্ক্রিন প্রেজেন্স ছিল তাঁর। তবু কোঁকড়া চুল আর স্টাইল স্টেটমেন্টে কেড়েছিলেন নজর।
২০০৫ সালে আমির খানের সঙ্গে বিয়ে হয় কিরণের। কিরণ আমির খানের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁদের বিয়ের নেপথ্যেও রয়েছে এক অজানা গল্প। হেভিওয়েট বিয়ে। রাখতে হবে লুকিয়ে। আর এই লুকিয়ে রাখার চক্করেই কী কান্ড ঘটিয়েছিলেন আমির শুনলে রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। ২০০৫ সালের শুরুতেই বিয়ের পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন আমির ও কিরণ। কিন্তু এ বিষয়ে কাউকে জানাতে তাঁরা চাননি। কিন্তু সে সময় ‘ফানহা’ ছবিরও শুট চলছে। বিয়ে আর শুটিং শিডিউল একদিনেই পড়ে যাচ্ছিল। ‘ফানহা’ ছবির পরিচালক কুনাল কোহলি একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “হঠাৎই আমির এসে আমায় জুন মাস নাগাদ বলে ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে পরের বছর জানুয়ারির ৩ অবধি তাঁর ছুটি চাই। আমায় বলে কিরণকে বিয়ে করছে ও। আমি শুভেচ্ছা জানাতেই আমায় সাবধান করে কাকপক্ষীও যাতে টের না পায়। কিন্তু প্রযোজক আদিত্য চোপড়াকে জানাতে হবে?” কুনাল জানান, প্রযোজককে জানাতেও কড়া নিষেধ ছিল আমিরের। তাঁর ভয় ছিল, আদিত্যকে বললেই ব্যাপারটা পাঁচকান হয়ে যেতে পারে যা সেই মুহূর্তে কোনও মোটেই চাইছিলেন না আমির। যখন আদিত্যকে শুটিংয়ের চার্ট দেওয়া হয় তখন ১০ দিনের ফাঁক দেখে আদিত্য পরিচালককে কারণ জিজ্ঞাসা করেন। জিজ্ঞাসা করেন আমির অথবা কাজল বা পরিচালক ওই সময় ঘুরতে যাচ্ছেন কিনা। কিন্তু হায়! আমিরকে কথা দেওয়ার ফলে আদিত্যকেও কিচ্ছুটি জানাতে পারেননি কুনাল। একসময় বিরক্ত হয়ে আদিত্য চোপড়া নির্দেশ দেন ওই দশ দিন হবে শুটিং। ওদিকে আমির পড়ে যান ফ্যাসাদে।
শেষমেশ ওই বছরই নভেম্বর নাগাদ বিয়ের কথা সবাইকে জানান আমির নিজেই। জানতে পারেন আদিত্য নিজেও। পরিচালককে তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, “তুই আমায় বললি না কেন”? পরিচালকও বাধ্য হয়ে জানান মাস্টারমাইন্ড আমির। তাঁর জন্যই লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল কুনালকেও। যদিও সেই বিয়ে ভেঙে গিয়েছে গত বছর, কিন্তু বন্ধুত্ব ভাঙেনি। আজও ছেলে আজাদকে একসঙ্গে বড় করে তোলায় দায়িত্ব পালব করছেন আমির ও কিরণ।