চওড়া লাল পাড়ের শাড়ি নেই। সিঁদুরের টিপ, গা ভর্তি গয়নাও নেই। অথবা ঘিয়ে রঙের শাড়ি, পাকা চুলের সাজও নয়। রানিমার লুক থেকে একেবারে বেরিয়ে এসেছেন দিতিপ্রিয়া রায়। দীর্ঘ চার বছরের যাত্রা শেষে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’তে দিতিপ্রিয়ার জার্নি শেষ হয়েছে। বাস্তবেও নিজের লুক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছেন অভিনেত্রী।
সদ্য সোশ্যাল ওয়ালে দিতিপ্রিয়া নিজের যে ছবি শেয়ার করেছেন, সেখানে তাঁর চুলের স্টাইল একেবারে আলাদা। ওয়েস্টার্ন পোশাকে দিতিপ্রিয়াকে আগেও দেখেছেন দর্শক। ছোট চুলের সাজও নতুন নয়। কিন্তু এ হেন চুলের স্টাইল নতুন। বিশেষ কোনও কাজের জন্য নিজের এই মেকওভার নাকি সাধারণ ভাবেই রিয়েল লাইফে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
অন্তিম পর্বের আগে দিতিপ্রিয়া বলেন, “এই জার্নিটার সব কিছুই আমার সঙ্গে থেকে যাবে। কাজ শেখা…। এই চার বছরে অনেক কিছু শিখেছি। সব থেকে বড় দর্শকের ভালবাসা। এই চার বছর আপনারা যে ভালবাসা দিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। রানিমার দয়াময়ী দিকটা আর প্রতিবাদী দিকটা সব সময় নিজের মধ্যে রাখার চেষ্টা করব। সত্যিই জানি না এত ভালবাসার যোগ্য কি না আমি। আমার যাত্রা শেষ হলেও এই ধারাবাহিক অবশ্যই আমি দেখব, শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে কোনও সিন দেখতে না পেলে পরে জি ফাইভে এখনও দেখে নিই, পরেও সেটাই করব।”
আপাতত হাতে বেশ কিছু ছবির কাজ রয়েছে দিতিপ্রিয়ার। পাভেলের পরিচালনায় একটি ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। সে প্রসঙ্গে আগেই বলেছিলেন, “পাভেলদার সঙ্গে একটা ছবি করছি আমি। কনট্র্যাক্টও সাইন হয়ে গিয়েছে। দারুণ লেগেছে স্ক্রিপ্টটা। আপাতত এটুকু। বাকিটা কয়েকদিন পরে জানাব।
ইমেজ ভেঙে বেরনোর প্রচেষ্টা তাঁর ইনস্টা প্রোফাইলে দেখা দিয়েছিল বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই। টলিপাড়ার কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বড় বড় প্রযোজকরা আগাম জানাচ্ছেন, দিতিপ্রিয়াই নাকি টলিউডের ‘নেক্সট বিগ থিং’। ওয়েব সিরিজে ডেবিউ করতে চলেছেন তিনি।
অষ্টাদশীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জোর চর্চা। বিশ্বাবসুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন তো সেই কবে থেকেই। বিশ্বাবসুর সঙ্গে চলতে থাকা এই লাগাতার গসিপের সূত্রপাত যখন, তখনই প্রথম বার টিভিনাইন বাংলার কাছেই এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দিতিপ্রিয়া। বলেছিলেন, “বিশ্বদা আমার দাদার মতো। রাসমণীর সেটে দু’জন রয়েছে, যারা আমাকে সবসময় গাইড করে। আগলে রাখে। গোগো (গৌরব চট্টোপাধ্যায়) এবং বিশ্ববাংলা (বিশ্বাবসু বিশ্বাস) । ওদের কাছে সবকিছুই শেয়ার করা যায়। বিশ্বদা তো আমার দাদা, আমার খুব কাছের একজন দাদা। ” গসিপ-গুঞ্জন-নিউলুক-নতুন কাজ… দিতিপ্রিয়া রায়কে নিয়েই আপাতত মজেছে নেটপাড়া।
আরও পড়ুন, প্রতিযোগীতার জন্য বলিউড থেকে সরে গিয়েছিলেন এষা দেওল?