সময়টা ভাল যাচ্ছে না জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। সম্প্রতি সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বিপদের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। যে কারণে দেশ ছাড়তে পারবেন না জ্যাকলিন। এরই মধ্যে খবর, সুকেশ কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই নাকি একের পর এক কাজ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে তাঁর। জ্যাকলিনের মেন্টর সলমন খানও নাকি বিতর্কিত জ্যাকলিনকে এই মুহূর্তে খানিক এড়িয়েই চলছেন!
সাম্প্রতিক খবর এও বলছে, তেলুগু ছবি ‘হারা ভীরা মাল্লু’র অংশও তিনি নেই আর। নেপথ্যে কি সুকেশ কাণ্ড? মুখ খুললেন ছবির পরিচালক কৃষ জগরলমুদি। তাঁর অবশ্য দাবি, ডেট জনিত সমস্যার কারণেই জ্যাকলিন ছবিটি করতে পারেননি। তিনি বলেন, “গত বছরেই জ্যাকলিন ছবিটা থেকে সরে এসেছিল। কারণ ও সময় দিতে পারছিল না। আমি আবারও বলছি ও স্বরে আসার নেপথ্যে সাম্প্রতিক বিতর্কের কোনও যোগ নেই।” জ্যাকলিনের পরিবর্তে যদিও ওই ছবিতে কাজ করছেন আরও এক বলি অভিনেতা, তিনি নার্গিস ফাকরি।
প্রসঙ্গত, সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি ফাঁস হওয়ার পাশাপাশি ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। সুকেশ চন্দ্রশেখর সংক্রান্ত মামলায় বলিউডের তারকা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শোনা যাচ্ছে, সুকেশের থেকে ১০ কোটি টাকার উপহারও নিয়েছেন জ্যাকলিন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছেন, যা ইঙ্গিত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর নাকি জ্যাকলিনকে টাকা পাঠিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত লেনদেনের বেশ কিছু তথ্য ইডির আধিকারিকদের হাতে এসেছে বলে খবর।
একসময় দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেনসেস উইং সুকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছাড়াও প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর চেন্নাইয়ের বাংলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২ লক্ষ টাকা, দুই কেজি সোনা, ১৬টি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডির কর্তারা। তা থেকেই জ্যাকলিনের নাম সামনে আসে। জারি হয় সমনও। ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পি এম এল এ) নিরিখে বয়ানও রেকর্ড করা হয়। যদিও জ্যাকলিনের তরফে জানানো হয়েছিল সুকেশ কাণ্ডে শুধুমাত্র সাক্ষী হিসেবে তাঁকে তলব করা হয়েছে।