মিমি দত্ত। টেলিভিশনে তাঁকে বিভিন্ন রকম চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। তবে এই মুহূর্তে টেলিভিশন নয়। বরং ওয়েবের কাজ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। মাস দুয়েকের মধ্যে এমন দুটো চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে, যা তাঁর কেরিয়ারে নাকি প্রথম।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে মিমি বলেন, “হইচইয়ের দুটো ওয়েবের কাজ করলাম। দুটোই থ্রিলার। গতানুগতিক থেকে অনেকটাই আলাদা। সাসপেন্স আছে। ফলে চরিত্র নিয়ে এখন কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এটুকু বলতে পারি, একেবারে আলাদা রকমের কাজ। আমাকে এমন চরিত্র আগে কেউ অফার করেননি।”
কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? মিমি শেয়ার করলেন, “আমাদের শুটিং শুরুর আগে ওয়ার্কশপ হয়েছিল। ওয়েবের পুরো কাজের প্যাটার্নটাই আলাদা। সেটা রপ্ত করতে হয়েছে আগে থেকে। সেই প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল।”
টেলিভিশনের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মিমি। ফের কবে টেলি পর্দায় তাঁকে দেখা যাবে? মিমির কথায়, “টেলিভিশনে ভাল কিছুর জন্য অপেক্ষা করছি। আসলে ওয়েবের চরিত্রে কাজ করে মজা পেয়েছি। টেলিভিশনে আবার একটা নতুন কিছু নিয়ে ব্যাক করব। মেগার অনেকগুলো কথা হয়ে রয়েছে। এখনও কিছু ফাইনাল হয়নি। অক্টোবর থেকে শুরু হতে পারে।”
বিয়ের পর চলতি বছরই মিমি এবং ওমের প্রথম পুজো। প্রথম সব কিছুই স্পেশ্যাল। কিন্তু করোনা আতঙ্কে আগে থেকে পুজোর জন্য কোনও প্ল্যান করতে পারছেন না বলে জানালেন মিমি। আজ সোমবার করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেবেন তিনি। তাও তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কায় পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও এখনও পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন বলে জানালেন।
কিছুদিন আগেই অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘আমি তুমি ও মালতী’ ছবিতে জি বাংলা অরিজিনালসে মিমির অভিনয় দেখেছেন দর্শক। মিমি ছাড়াও ফারহান ইমরোজ এবং শ্রীতমা ভট্টাচার্য এই ছবির মুখ্য দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছিলেন সুবান রায়ও। অনেকদিন ধরেই ওই ছবির কথা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে শুটিং শুরু করা সম্ভব হয়নি। লকডাউন শিথিল হতেই শুটিং শুরু করেন কলাকুশলীরা। শেষ পর্যন্ত দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিল ছবির গল্প এবং অভিনয়। প্রতিটি স্তরে করোনা স্বাস্থ্যবিধি কড়া ভাবে মেনে শুটিং করা হয়েছে বলে খবর। প্রতিটি পারফরম্যান্সে নিজেকেই চ্যালেঞ্জ করেন। আগের থেকে ভাল কিছু করার প্রয়ায় সব সময় জারি রাখেন অভিনেত্রী।
বিয়ের পর লকডাউনে অনেকটা সময় ওম সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মিমি। সে সময় TV9 বাংলাকে মিমি বলেছিলেন, “অনেকটা সময় পরিবারের সকলে মিলে একসঙ্গে কাটাচ্ছি। ব্যস্ত থাকাকালীন তো পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো হয় না। আমি আর ওম একসঙ্গে রান্না করছি কখনও। সিনেমা দেখছি, ফটোশুট করছি। আমার পার্সোনাল ফটোগ্রাফার ওম।”
আরও পড়ুন, নিজের মতো করে বাঁচতে শিখিয়েছেন যিনি, শিক্ষক দিবসে তাঁকে শুভেচ্ছা রনিতার