এখানেই শেষ নয়। বাবাকে উদ্দেশ্য করে সুস্মিতা আরও লিখেছেন, “তোমার সুস্বাস্থ্য ও আনন্দ কামনা করি। সকলের জীবনকে নিজ মহিমায় ছুঁয়েছ তুমি। তাঁদের মধ্যে আশার বীজ বোপন করেছ। চুপ থেকে শক্ত থেকেছ। তোমার প্রাণশক্তি হার মানায় সবকিছুকে। তোমার থেকে এসবই আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেতে চাই। বাবা, তুমি অসামান্য। আই লাভ ইউ।”
সুস্মিতার জন্ম ১৯৭৫ সালের ১৯ নভেম্বর। ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন কলকাতার মেয়ে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯। প্রথম ভারতীয় ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী বলে কথা। চারদিকে আলোড়ন পড়ে যায়। আইকনিক হয় ওঠে জেতার পর সুস্মিতার মুখ ঢেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ। তারপর সিনেমা জগতে পা। অভিনয় করেছেন হিন্দি ও বাংলা ছবিতে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর ওয়েব সিরিজ় ‘আরিয়া ২’। প্রথম সিরিজ়টির মতো দ্বিতীয়টিতেও অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন সুস্মিতা।
সুস্মিতার উচ্চতার সঙ্গে মিল রয়েছে তাঁর ব্যক্তিত্বেরও। সামাজিক বিধি কোনওদিনই তাঁর পা দুটিকে শৃঙ্খলিত করতে পারেনি। দুটি অদৃশ্য ডানার উপর ভর করেই তিনি উড়েছেন আজীবন। লম্বা উড়ান দিয়েছেন। যে উড়ান তাঁকে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। নিজের শর্তে জীবন কাটিয়েছেন, কাটাবেনও। দুটি কন্যা সন্তানকে দত্তক নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আত্মিক যোগ স্থাপন করেছেন। সমাজকে প্রশ্ন করেছেন। সমাজের কোনও প্রশ্নের তোয়াক্কা করেননি।