প্যানডেমিক গোটা বিশ্বের মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি পরিবার, প্রিয়জনকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করছেন সকলে। সেই প্রয়াসে কখনও অপরিচিত কারও সমস্যাতেও সাধ্যমতো ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। ঠিক যেমনই প্যানডেমিকে বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের প্রচুর ভিডিয়ো দেখে, তাঁদের অসহায়তার কথা আরও বেশি করে জানতে পেরে ভেঙে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী মিথিলা পালকর।
এ প্রসঙ্গে সদ্য এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, “আমি এমন প্রচুর বৃদ্ধ, বৃদ্ধার ভিডিয়ো দেখেছি যাঁদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। রাস্তায় থাকছেন অনেকে। আমার বড় হওয়া তো এমন নয়। সে কারণেই আমি ভাবতে পারি না, বাড়ির বয়স্কদের রাস্তায় কেউ কী ভাবে বের করে দিচ্ছেন?”
বাবা, মা এবং ঠাকুমা, দাদুর প্রতি নাকি মিথিলা ওভার প্রোটেক্টিভ। কখনও কখনও তাঁরা নাকি মিথিলাকে বলেন, এ বার তাদের একা থাকতে দেওয়া হোক। বয়স্কদের জন্য আলাদা করে কিছু করার কথা ভেবেছেন তিনি। মিথিলা বলেন, “বয়স্কদের কী ধরনের সমস্যা, কী ভাবে সমাধান সম্ভব তা নিয়ে রিসার্চ শুরু করেছি। অনেক এনজিও এ সব নিয়ে দারুণ কাজ করছে। প্রাথমিক ভাবে হয়তো তেমন কোনও এনজিও-র সঙ্গে কাজ করব। অ্যালঝাইমার্স, ডিমনেশিয়া রয়েছে যাঁদের, তাঁদেরও সাহায্য করতে চাই। বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে কাজ করতে চাই। পুরো বিষয়টা জানা হলে নিজেই একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলব হয়তো।”
বাবা, মায়েরা আমাদের বড় করে তোলেন। বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের দেখাশোনা করা প্রত্যেক সন্তানের উচিত বলে মনে করেন অভিনেত্রী। যাঁরা সে কাজ করছেন না, তাঁদের বাবা, মায়েদের সাহায্য করতেই এই পদক্ষেপ নিতে চান মিথিলা।
আরও পড়ুন, দ্বিতীয়বার সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর কেন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন নেহা?